বনেদীয়ানা'র শ্রদ্ধার্ঘ্য
আজ ২৮বৈশাখ,১৪২৭ জ্যোতির্ময়ী শ্রীশ্রীআনন্দময়ী মায়ের ১২৫তম আবির্ভাবতিথি। বনেদীয়ানা পরিবারের সকল সদস্যদের পক্ষথেকে শ্রীশ্রীমায়ের চরণে শতকোটি প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানালাম। মায়ের সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করলাম, লিখলেন শুভদীপ। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর প্রশাসনের সাথে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করুন।
আমাদের সাক্ষাৎ জ্যান্ত দুর্গা মা আনন্দময়ীঃ- শুভ আবির্ভাবতিথি
১৮৯৬সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার খেওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মা আনন্দময়ী। আনন্দময়ী মায়ের প্রকৃত নাম নির্মলা সুন্দরী, তিনি দাক্ষায়ণী, কমলা বা বিমলা নামেও সমাধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। ১৯০৮সালে রমণীমোহন চক্রবর্তীর সাথে বিবাহ হয় তাঁর, স্বামী পরবর্তীকালে সন্ন্যাস গ্রহণ করে ভোলানাথ নামে পরিচিত হন। ১৯২৪ সালে ঢাকার নবাবের বাগানের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে রমণীমোহন নিযুক্ত হলে নির্মলা সুন্দরীও তাঁর সঙ্গে চলে আসেন ও সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির(১৯২৬) প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মন্দিরেই একদিন দিব্যভাবে মাতোয়ারা নির্মলা আনন্দময়ী মূর্তিতে প্রকাশিত হন তখন থেকেই তিনি সকলের মা আনন্দময়ী।
আনন্দময়ী মায়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, কমলা নেহরু, পরমহংস যোগানন্দ থেকে শুরু করে বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি। মায়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁরা আরও খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য আনন্দময়ী মায়ের মধ্যে ছোটোবেলা থেকেই দৈবশক্তির প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তিনি হরিনামকীর্তন শুনে আত্মহারা হয়ে যেতেন। উল্লেখ্য তিনি তাঁর স্বামীকে দীক্ষাদান করেছিলেন। আনন্দময়ী মায়ের শিষ্যদের মধ্যে তাঁর স্বামীও রয়েছেন। ১৯৩২ সালে আনন্দময়ী মা স্বামীর সঙ্গে উত্তরভারতের দেরাদুনে চলে যান এবং সেখানে তাঁর লীলাক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়। মা আনন্দময়ী সকল ভক্তের কাছে সাক্ষাৎ জ্যান্ত দুর্গা। তাঁর বিশেষ কীর্তি হল প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান নৈমিষারণ্যের পুনর্জাগরণ ঘটানো। সেখানে গিয়ে তিনি নতুন করে মন্দির স্থাপন করে যজ্ঞ, কীর্তন, নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে ভগবৎসাধনার ক্ষেত্র তৈরি করেন।
আনন্দময়ী মা ছিলেন একজন সমাজশ্রষ্টা। তিনি সকল জীবকেই সন্তানজ্ঞানে ভালোবাসতেন। মা আনন্দময়ী ছিলেন ভগবৎপ্রেমী, তাই ভারতের জনগনকে ভগবৎপ্রেমী করার কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। আজ তাঁর আবির্ভাবতিথি উপলক্ষে আমাদের প্রণাম ও শ্রদ্ধা রইল।
#আনন্দময়ীমা #বনেদীয়ানা
#AnandamoyeeMaa #Bonediyana
আজ ২৮বৈশাখ,১৪২৭ জ্যোতির্ময়ী শ্রীশ্রীআনন্দময়ী মায়ের ১২৫তম আবির্ভাবতিথি। বনেদীয়ানা পরিবারের সকল সদস্যদের পক্ষথেকে শ্রীশ্রীমায়ের চরণে শতকোটি প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানালাম। মায়ের সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করলাম, লিখলেন শুভদীপ। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর প্রশাসনের সাথে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করুন।
আমাদের সাক্ষাৎ জ্যান্ত দুর্গা মা আনন্দময়ীঃ- শুভ আবির্ভাবতিথি
১৮৯৬সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার খেওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মা আনন্দময়ী। আনন্দময়ী মায়ের প্রকৃত নাম নির্মলা সুন্দরী, তিনি দাক্ষায়ণী, কমলা বা বিমলা নামেও সমাধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। ১৯০৮সালে রমণীমোহন চক্রবর্তীর সাথে বিবাহ হয় তাঁর, স্বামী পরবর্তীকালে সন্ন্যাস গ্রহণ করে ভোলানাথ নামে পরিচিত হন। ১৯২৪ সালে ঢাকার নবাবের বাগানের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে রমণীমোহন নিযুক্ত হলে নির্মলা সুন্দরীও তাঁর সঙ্গে চলে আসেন ও সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির(১৯২৬) প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মন্দিরেই একদিন দিব্যভাবে মাতোয়ারা নির্মলা আনন্দময়ী মূর্তিতে প্রকাশিত হন তখন থেকেই তিনি সকলের মা আনন্দময়ী।
আনন্দময়ী মায়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, কমলা নেহরু, পরমহংস যোগানন্দ থেকে শুরু করে বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি। মায়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁরা আরও খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য আনন্দময়ী মায়ের মধ্যে ছোটোবেলা থেকেই দৈবশক্তির প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তিনি হরিনামকীর্তন শুনে আত্মহারা হয়ে যেতেন। উল্লেখ্য তিনি তাঁর স্বামীকে দীক্ষাদান করেছিলেন। আনন্দময়ী মায়ের শিষ্যদের মধ্যে তাঁর স্বামীও রয়েছেন। ১৯৩২ সালে আনন্দময়ী মা স্বামীর সঙ্গে উত্তরভারতের দেরাদুনে চলে যান এবং সেখানে তাঁর লীলাক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়। মা আনন্দময়ী সকল ভক্তের কাছে সাক্ষাৎ জ্যান্ত দুর্গা। তাঁর বিশেষ কীর্তি হল প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান নৈমিষারণ্যের পুনর্জাগরণ ঘটানো। সেখানে গিয়ে তিনি নতুন করে মন্দির স্থাপন করে যজ্ঞ, কীর্তন, নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে ভগবৎসাধনার ক্ষেত্র তৈরি করেন।
আনন্দময়ী মা ছিলেন একজন সমাজশ্রষ্টা। তিনি সকল জীবকেই সন্তানজ্ঞানে ভালোবাসতেন। মা আনন্দময়ী ছিলেন ভগবৎপ্রেমী, তাই ভারতের জনগনকে ভগবৎপ্রেমী করার কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। আজ তাঁর আবির্ভাবতিথি উপলক্ষে আমাদের প্রণাম ও শ্রদ্ধা রইল।
#আনন্দময়ীমা #বনেদীয়ানা
#AnandamoyeeMaa #Bonediyana