ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রাঃ
গতপর্বে বনেদিয়ানা প্রকাশ করেছিল তিন প্রাচীন রথযাত্রার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আজও প্রকাশিত হল কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী স্বনামখ্যাত পরিবারের রথযাত্রা উৎসব, লিখলেন শুভদীপ। এই রথযাত্রা বর্তমানে রাসমণি দেবীর প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী কালীমন্দিরে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। আভিজাত্যে আজও অটুট এই রথযাত্রা। আপনাদের অনুরোধ আপনারা এখন বাড়িতে থাকুন আর সুস্থ থাকুন। ইতিহাসের সাথে থাকুন আর বনেদীয়ানা র প্রকাশিত প্রবন্ধ কেমন লাগছে অবশ্যই জানাবেন আমাদের। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির কথা।
রানী রাসমণি বাড়ির রথযাত্রাঃ
কলকাতার স্বনামখ্যাত পরিবারের মধ্যে অন্যতম জানবাজারের রানী রাসমণির বাড়ি, পরিবারের প্রাচীন দুর্গাপুজো যা আজও তিলোত্তমার গৌরব এবং ঐতিহ্যকে বহন করে। রানী রাসমণিদেবীর ঐতিহ্যময় সৃষ্টি- দক্ষিণেশ্বর শ্রীশ্রী ভবতারিণী কালীমন্দির, যা আজ বিশ্বের সকল মাতৃভক্তদের কাছে সমাদৃত।
মূলত রাসমণি দেবী শাক্ত আরাধনা করলেও, তিনি পিতৃসূত্রে বৈষ্ণবভাবাপন্ন ছিলেন এবং শ্বশুরালয়েও 'রঘুনাথজীউ' পরবর্তীকালে গৃহদেবতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। স্বামী রাজচন্দ্র দাসের জীবদ্দশায় বাড়িতে দোল উৎসব, দুর্গাপুজো প্রভৃতি অনুষ্ঠান মহাসমারহে হলেও রথযাত্রা হতনা। স্বামীর মৃত্যুর পর রাসমণি দেবী রথযাত্রা উৎসব করতে এবং সেই রথে গৃহদেবতা শ্রীশ্রীরঘুনাথ জীউ'কে বসাতে মনস্থ করেন। ১৮৩৮ খ্রীষ্টাব্দে রাসমণিদেবী প্রথম রথযাত্রা উপলক্ষে রথনির্মাণ করেন সওয়া লক্ষ টাকা ব্যয় করে এবং ধুমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালন করেন।
বাংলার নানান স্থানে নানাপ্রকার রথ হত, কিন্তু রাসমণি দেবীর ইচ্ছানুযায়ী, সেই বাড়িতে কাঠের পরিবর্তে রূপোর রথ তৈরি হল। কলকাতার অভিজাত পরিবারের কাছে বিলাতি জহুরী হিসাবে হ্যামিল্টন কোম্পানির তখন খুবই খ্যাতি। রাসমণির জামাতা মথুরমোহন বিশ্বাসের ইচ্ছা ছিল সেই বিদেশী কোম্পানিকে দিয়েই তৈরি করাবেন দামি রূপোর রথ। কিন্তু তাঁর জ্যেষ্ঠ জামাতা রামচন্দ্র দাসের পরামর্শ অনুযায়ী রাসমণি দেবী দেশি কারিগর দিয়েই রথ তৈরি করালেন। সিঁথি, ভবানীপুর প্রভৃতি স্থান থেকে যোগ্য কারিগর নিয়ে এসে বাড়িতেই তৈরি হল রূপোর রথ।
রাসমণিদেবী প্রতিবছরই ধুমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালন করতেন। রথযাত্রার সময় ঢাক, ঢোল, সানাই, বাঁশি, জগঝম্প প্রভৃতি নানান বাজনা আনতেন। বাজনা ও কীর্তনের দল রথের পেছনে পেছনে যেত। লোকে দলে দলে আসতেন 'রানীর রথ' দেখতে। রানী রাসমণি দেবীর রথযাত্র উপলক্ষে প্রায় ৮/১০হাজার টাকা খরচ হত। একবার তিনি এই উৎসব দেখার জন্য সাহেবদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য প্রবোধচন্দ্র সাঁতরা তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন যে, স্নানযাত্রার দিন মহাধুমধামে রথ প্রতিষ্ঠা হল। রহু ব্রাহ্মণ ভোজন ও বিদায় দেওয়া হল। মোট ১,২২,১১৫ টাকা ব্যয় হল। মহা সমারহে মহানগরী কলকাতায় জনসাধারণের সামনে এলো রৌপ্যময় রথ। এছাড়াও লিখেছেন, 'গোযানে রৌশনচৌকি, সানাই, ঢাক, ঢোল, নাকাড়া ইত্যাদি শতাধিক বাদ্যকরগণ শব্দে মুখরিত করত। বাউলের দল, যাত্রার দল, বালক সঙ্গীতের দল, সঙ্কীর্তন সম্প্রদায়, নানাবিধ রঙ তামাসা, বাগবাজারের সখের নামগান এছাড়া নামজাদা দোহারগণ আসতেন রানী রাসমণির রথযাত্রায়। রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতিবছর ২থেকে ৩মণ যুঁই ফুলের মালা কেনা হত। তারপর রথের সামনে রানীর গুরুদেব এবং জামাতারা একসাথে চলতেন। তাঁদের পেছনে থাকতেন নায়েব, দেওয়ান, সরকার, গোমস্তা এবং সঙ্গে সঙ্গে দাসদাসীগণ। প্রায় ৪/৫ শত লোক রথরজ্জু ধরে রথ বহন করত এবং রথে আসীন হতেন শ্রীশ্রীরঘুনাথ জীউ। বলা যেতে পারে মহাসমারহে নিষ্ঠার সাথে পালিত হত রানী রাসমণির রথযাত্রা উৎসব।
একবছর রানী শহরের সম্ভ্রান্ত সাহেবদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তারা দেখে বলেছিলেন, 'Our eyes never met such a gorgeous, pompous extraordinary Occasion like this....' উল্লেখ্য রাসমণি দেবীর দেহত্যাগের পর তাঁর সেই রূপোর রথ তাঁর অন্যতম দৌহিত্র ত্রৈলোক্যনাথ বিশ্বাস (শ্রীশ্রীজগদম্বাদেবী ও মথুরমোহন বিশ্বাসের দ্বিতীয়পুত্র) নিজের বাড়ির অংশে রাখেন। ১৮৮১ সালে রাসমণির আরেক দৌহিত্র বলরাম দাস(পদ্মমণি ও রামচন্দ্র দাসের দ্বিতীয়পুত্র) ২৯৪নং মামলায় রথ ও দেবোত্তর সম্পত্তির বিষয়ে মামলা করেন। ১৯০১ সালে রথের মামলার নিষ্পত্তি হয় ও ঐ বছর প্রথম রথের পালা বলরাম দাস পান। রাসমণি দেবীর পাঁচজন দৌহিত্রের মধ্যে পালা করে রথযাত্রা হত। ১৯১০সালে রূপোর রথের শোচনীয় অবস্থা দেখে বলরাম দাস সকল অংশীদারগণকে রথটি ভেঙে নতুন রথ তৈরির আহ্বান জানান কিন্তু কেউ সেই বিষয়ে সাড়া না দেওয়ায় একমাত্র অমৃতদাস ও বলরাম দাস দুজনে মিলে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে পুরানো রথের মতনই নতুন রথ নির্মাণ করেন ও নিজেরাই তাঁদের নিজ গৃহদেবতা শ্রীশ্রীবামনদেব জীউকে বসিয়ে রথযাত্রা উৎসব পালন করতে শুরু করেন। এইসময়ে রাসমণি দেবীর রথের সাথে এই রথও বার হত। পরবর্তীকালে এই রথটিও ভগ্নদশা হলে রথযাত্র উৎসব বন্ধ হয়ে যায় ও রাসমণি দেবীর রূপোর রথটি বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আছে। আজও সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে রথযাত্রা উৎসব হয় দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে।
****আপনারাও যদি আরও কিছু তথ্য জানেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টস করবেন আমরা পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।****
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ 'রানী রাসমণির জীবনবৃত্তান্ত', নির্মলকুমার রায়
চিত্রঋণঃরানী রাসমণি পরিবারের সদস্য
#রানীরাসমণিররথযাত্রা
#রথযাত্রাউৎসব
#বনেদীয়ানা
#RaniRashmoniRathayatra
#RathaYatra
#Bonediyana
গতপর্বে বনেদিয়ানা প্রকাশ করেছিল তিন প্রাচীন রথযাত্রার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আজও প্রকাশিত হল কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী স্বনামখ্যাত পরিবারের রথযাত্রা উৎসব, লিখলেন শুভদীপ। এই রথযাত্রা বর্তমানে রাসমণি দেবীর প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী কালীমন্দিরে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। আভিজাত্যে আজও অটুট এই রথযাত্রা। আপনাদের অনুরোধ আপনারা এখন বাড়িতে থাকুন আর সুস্থ থাকুন। ইতিহাসের সাথে থাকুন আর বনেদীয়ানা র প্রকাশিত প্রবন্ধ কেমন লাগছে অবশ্যই জানাবেন আমাদের। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির কথা।
রানী রাসমণি বাড়ির রথযাত্রাঃ
কলকাতার স্বনামখ্যাত পরিবারের মধ্যে অন্যতম জানবাজারের রানী রাসমণির বাড়ি, পরিবারের প্রাচীন দুর্গাপুজো যা আজও তিলোত্তমার গৌরব এবং ঐতিহ্যকে বহন করে। রানী রাসমণিদেবীর ঐতিহ্যময় সৃষ্টি- দক্ষিণেশ্বর শ্রীশ্রী ভবতারিণী কালীমন্দির, যা আজ বিশ্বের সকল মাতৃভক্তদের কাছে সমাদৃত।
মূলত রাসমণি দেবী শাক্ত আরাধনা করলেও, তিনি পিতৃসূত্রে বৈষ্ণবভাবাপন্ন ছিলেন এবং শ্বশুরালয়েও 'রঘুনাথজীউ' পরবর্তীকালে গৃহদেবতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। স্বামী রাজচন্দ্র দাসের জীবদ্দশায় বাড়িতে দোল উৎসব, দুর্গাপুজো প্রভৃতি অনুষ্ঠান মহাসমারহে হলেও রথযাত্রা হতনা। স্বামীর মৃত্যুর পর রাসমণি দেবী রথযাত্রা উৎসব করতে এবং সেই রথে গৃহদেবতা শ্রীশ্রীরঘুনাথ জীউ'কে বসাতে মনস্থ করেন। ১৮৩৮ খ্রীষ্টাব্দে রাসমণিদেবী প্রথম রথযাত্রা উপলক্ষে রথনির্মাণ করেন সওয়া লক্ষ টাকা ব্যয় করে এবং ধুমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালন করেন।
বাংলার নানান স্থানে নানাপ্রকার রথ হত, কিন্তু রাসমণি দেবীর ইচ্ছানুযায়ী, সেই বাড়িতে কাঠের পরিবর্তে রূপোর রথ তৈরি হল। কলকাতার অভিজাত পরিবারের কাছে বিলাতি জহুরী হিসাবে হ্যামিল্টন কোম্পানির তখন খুবই খ্যাতি। রাসমণির জামাতা মথুরমোহন বিশ্বাসের ইচ্ছা ছিল সেই বিদেশী কোম্পানিকে দিয়েই তৈরি করাবেন দামি রূপোর রথ। কিন্তু তাঁর জ্যেষ্ঠ জামাতা রামচন্দ্র দাসের পরামর্শ অনুযায়ী রাসমণি দেবী দেশি কারিগর দিয়েই রথ তৈরি করালেন। সিঁথি, ভবানীপুর প্রভৃতি স্থান থেকে যোগ্য কারিগর নিয়ে এসে বাড়িতেই তৈরি হল রূপোর রথ।
রাসমণিদেবী প্রতিবছরই ধুমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালন করতেন। রথযাত্রার সময় ঢাক, ঢোল, সানাই, বাঁশি, জগঝম্প প্রভৃতি নানান বাজনা আনতেন। বাজনা ও কীর্তনের দল রথের পেছনে পেছনে যেত। লোকে দলে দলে আসতেন 'রানীর রথ' দেখতে। রানী রাসমণি দেবীর রথযাত্র উপলক্ষে প্রায় ৮/১০হাজার টাকা খরচ হত। একবার তিনি এই উৎসব দেখার জন্য সাহেবদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য প্রবোধচন্দ্র সাঁতরা তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন যে, স্নানযাত্রার দিন মহাধুমধামে রথ প্রতিষ্ঠা হল। রহু ব্রাহ্মণ ভোজন ও বিদায় দেওয়া হল। মোট ১,২২,১১৫ টাকা ব্যয় হল। মহা সমারহে মহানগরী কলকাতায় জনসাধারণের সামনে এলো রৌপ্যময় রথ। এছাড়াও লিখেছেন, 'গোযানে রৌশনচৌকি, সানাই, ঢাক, ঢোল, নাকাড়া ইত্যাদি শতাধিক বাদ্যকরগণ শব্দে মুখরিত করত। বাউলের দল, যাত্রার দল, বালক সঙ্গীতের দল, সঙ্কীর্তন সম্প্রদায়, নানাবিধ রঙ তামাসা, বাগবাজারের সখের নামগান এছাড়া নামজাদা দোহারগণ আসতেন রানী রাসমণির রথযাত্রায়। রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতিবছর ২থেকে ৩মণ যুঁই ফুলের মালা কেনা হত। তারপর রথের সামনে রানীর গুরুদেব এবং জামাতারা একসাথে চলতেন। তাঁদের পেছনে থাকতেন নায়েব, দেওয়ান, সরকার, গোমস্তা এবং সঙ্গে সঙ্গে দাসদাসীগণ। প্রায় ৪/৫ শত লোক রথরজ্জু ধরে রথ বহন করত এবং রথে আসীন হতেন শ্রীশ্রীরঘুনাথ জীউ। বলা যেতে পারে মহাসমারহে নিষ্ঠার সাথে পালিত হত রানী রাসমণির রথযাত্রা উৎসব।
একবছর রানী শহরের সম্ভ্রান্ত সাহেবদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তারা দেখে বলেছিলেন, 'Our eyes never met such a gorgeous, pompous extraordinary Occasion like this....' উল্লেখ্য রাসমণি দেবীর দেহত্যাগের পর তাঁর সেই রূপোর রথ তাঁর অন্যতম দৌহিত্র ত্রৈলোক্যনাথ বিশ্বাস (শ্রীশ্রীজগদম্বাদেবী ও মথুরমোহন বিশ্বাসের দ্বিতীয়পুত্র) নিজের বাড়ির অংশে রাখেন। ১৮৮১ সালে রাসমণির আরেক দৌহিত্র বলরাম দাস(পদ্মমণি ও রামচন্দ্র দাসের দ্বিতীয়পুত্র) ২৯৪নং মামলায় রথ ও দেবোত্তর সম্পত্তির বিষয়ে মামলা করেন। ১৯০১ সালে রথের মামলার নিষ্পত্তি হয় ও ঐ বছর প্রথম রথের পালা বলরাম দাস পান। রাসমণি দেবীর পাঁচজন দৌহিত্রের মধ্যে পালা করে রথযাত্রা হত। ১৯১০সালে রূপোর রথের শোচনীয় অবস্থা দেখে বলরাম দাস সকল অংশীদারগণকে রথটি ভেঙে নতুন রথ তৈরির আহ্বান জানান কিন্তু কেউ সেই বিষয়ে সাড়া না দেওয়ায় একমাত্র অমৃতদাস ও বলরাম দাস দুজনে মিলে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে পুরানো রথের মতনই নতুন রথ নির্মাণ করেন ও নিজেরাই তাঁদের নিজ গৃহদেবতা শ্রীশ্রীবামনদেব জীউকে বসিয়ে রথযাত্রা উৎসব পালন করতে শুরু করেন। এইসময়ে রাসমণি দেবীর রথের সাথে এই রথও বার হত। পরবর্তীকালে এই রথটিও ভগ্নদশা হলে রথযাত্র উৎসব বন্ধ হয়ে যায় ও রাসমণি দেবীর রূপোর রথটি বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আছে। আজও সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে রথযাত্রা উৎসব হয় দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে।
****আপনারাও যদি আরও কিছু তথ্য জানেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টস করবেন আমরা পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।****
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ 'রানী রাসমণির জীবনবৃত্তান্ত', নির্মলকুমার রায়
চিত্রঋণঃরানী রাসমণি পরিবারের সদস্য
#রানীরাসমণিররথযাত্রা
#রথযাত্রাউৎসব
#বনেদীয়ানা
#RaniRashmoniRathayatra
#RathaYatra
#Bonediyana
No comments:
Post a Comment