রত্নগর্ভা
ভারতভূমি
শুরু হয়ে গেল
বনেদীর-বনেদীয়ানা'য় রত্নগর্ভা ভারতভূমির
পর্ব আলোচনা। প্রথম
পর্ব আলোচনায় শ্রীমান্ শঙ্খ, আজকের বিষয়-
সদগুরু শ্রী শ্রীমৎ অচ্যুতানন্দ
সরস্বতী( শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী):পর্ব-১
সঙ্গে
থাকুন বনেদীয়ানার...
সদ্গুরু
শ্রী শ্রীমৎ অচ্যুতানন্দ সরস্বতী
(শ্রীমৎ
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী)
জয়তু বিজয়কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহঃ।
অদ্বৈতবংশতিলকঃ
শ্রীযোগমায়া বল্লভঃ।।
বঙ্গে
শান্তিপুরাৎ জন্ম শ্রীক্ষেত্রে যস্য
সমাধিঃ।
সদ্গুরু
ত্বমহং বন্দে ত্রাহিমাম্ শরণাগতম্।।
সৃষ্টিচক্রের
মধ্যে পৃথিবী নামক বহুকল্পী
ভূমণ্ডলে ভারতবর্ষ একটি দেশ।
নিরাকার পরমব্রহ্মের সাকার প্রকাশরূপ সনাতন
ধর্মের কুঁড়ি যেখানে সর্বপ্রথম
বিকশিত হয়। আকার
বা বিস্তারগত দিক থেকে ভারতভূমির
পরিমাপ যা'ই হোকনা
কেন, যুগযুাগন্তে মহাত্মা-মহাপুরুষগণ বারংবার এই ভূমিতেই পদার্পণ
করেছেন এবং সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে
চিরন্তন সত্যরূপ সনাতন ধর্মের পবিত্রতা
রক্ষার্থে বারংবার সনাতনী বৈজয়ন্তের গগনবিদারী
দণ্ড প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
এই পরিমণ্ডলেই ভারতমাতৃকার মানসলোক গড়ে উঠেছে।
ইতিহাসবিস্মৃত কাল থেকে চলে
আসছে, নিরাকার ব্রহ্মের নরলীলা। ধর্মস্থাপনের
উদ্দেশ্যে শাশ্বত প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে
তিনি বারেবারে বিবিধ বিভূতীতে অবতীর্ণ
হয়েছেন।
শ্রীধাম
নবদ্বীপে সুরধুনী সরিৎশ্রেষ্ঠার তীরে যে চলমান
প্রেমকল্পতরু শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব হয়েছিলো, সেই অপার্থিব বৈভবের
প্রথম অঙ্কুর ছিলেন শ্রীপাদ
মাধবেন্দ্র পুরী। চৈতন্যময়
মাধবেন্দ্রের কাছে দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে,
সুরধুনীর পার্শ্ববর্তী শান্তিপুরে শ্রী শ্রীমৎ রাধামাধব'কে প্রতিষ্ঠা করেন
গোস্বামী কুলদীপক শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্য্য।
অদ্বৈতাচার্য্যের গোস্বামী বংশ পূর্বে ছিলেন
শ্রীহট্টবাসী। তাঁর
পিতা শ্রীহট্টরাজ দিব্যসেনের মন্ত্রীপদের ভূমিকায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। দীক্ষাপ্রাপ্তির
পরে শ্রীমৎ অদ্বৈত, গুরুর
আশ্বাসবাণী পেয়ে শান্তিপুরের পার্শ্ববর্তী
বাবলা নামক নিভৃত জঙ্গলে
সামান্য জল-তুলসী উপচারে
গোলকপতিকে অবতীর্ণ হওয়ার কাতর প্রার্থনায়
দিনপাত করতে থাকেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ন্যুনতম ভাব নষ্ট হয়ে
যাওয়ায় যে ধর্মীয় মাৎস্যন্যায়ের
পরিস্থিতি তৎকালীন বঙ্গদেশের আকাশ-বাতাসকে ক্রমে
বিষাক্ততায় ভরিয়ে তুলছিলো, সেই
অস্থির সময়েই অদ্বৈতের প্রেমভরা
কাকুতি বা সময়বিশেষে ভাবের
হুঙ্কারে অবশেষে বৈকুণ্ঠানাথের মন
বিচলিত হলো। তিনি
ষড়ৈশ্বর্য্যের বিভূতিসমন্বয়ে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর
প্রেমের আহ্বানে জগৎকুল মেতে উঠলো
সংকীর্তনে। বঙ্গদেশবাসী
পেলেন প্রেমের ভাবে সম্প্রীতির দীক্ষামন্ত্র। ভেদবুদ্ধিসম্পন্ন
জনজীবনে এলো আচণ্ডালে ভগবৎমন্ত্রে
পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জোয়ার।
নবদ্বীপ
লীলাকালে শ্রীমৎ চৈতন্যদেব একদা
ভাবাবেশে চলেছেন অপ্রাকৃত শ্রীধাম
বৃন্দাবনের পথে। জাগতিক
আবেগ-অভিব্যক্তি হয়েছে তিরোহিত।
সম্পূর্ণ বাহ্যজ্ঞানরহিত অবস্থায় কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা হয়ে চলেছেন।
তাঁর মানসিক অবস্থা বুঝেই
পিছনে আসছিলেন শ্রীমান নিত্যানন্দ প্রভু। বহুকষ্টে
মানিয়ে সে যাত্রায় বৃন্দাবন
থেকে ফিরিয়ে আনলেন শান্তিপুরে
অদ্বৈতাচার্য্যের বাড়ীতে। সেখানে
দশদিন অবস্থান করে পূরণ করলেন
ভক্তের মনোবাঞ্ছা। তারপরে
সকলের অশ্রুজল, আকুতি, মিনতি উপেক্ষা
করে বেড়িয়ে পড়লেন রাস্তায়। এবারের
লক্ষ্য শ্রীক্ষেত্র নীলাচল। অদ্বৈতাচার্য্যের
বারংবার নিষেধবাক্যেও সঙ্কল্প থেকে নড়লেন না। এতে
ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রীমৎ আচার্য্য
অভিসম্পাত করলেন গৌরাঙ্গকে, "মাত্র
দশদিন থেকে আমার গৃহত্যাগ
করছো! এত আকুতিতেও তুমি
তোমার সিদ্ধান্ত পাল্টালে না? বেশ! আমিও
বলে রাখলাম, এবারে তোমার কাজ
সম্পূর্ণ হবেনা। তোমাকে
আবার প্রারব্ধ ভোগের জন্য জীবের
কল্যানে ধরাধামে অবতীর্ণ হতে হবে; এবং
সেইবারের অবতরণ হবে আমারই
বংশের উত্তর দশমপুরুষে।"
বৈষ্ণব কবি লোচনদাস রচিত
শ্রীচৈতন্যমঙ্গল কাব্যে এঘটনার উল্লেখ
পাওয়া যায়। অদ্বৈতবংশে
মহাপ্রভুর পুনরাগমনের সূত্র এই গ্রন্থেই
স্বীকার করে গেছেন তিনি।
কিন্তু,
এ'কি সত্যিই অভিশাপ!
নাকি আগামীকালের ধর্মীয় গ্লানিনাশের প্রয়োজনে
পুনরাবির্ভাবের সংকেতবাক্য প্রতিধ্বনিত হয়েছে!
...........
এরপরে
সময়ের জোয়ারভাটায় কেটে গেলো দীর্ঘ
চারশো বছর। ততদিনে
ধর্মজগতে ভেদবুদ্ধি, অস্পৃশ্যতা, সংস্কারবোধ, অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, নিয়মাধীন আচারসর্বস্ব শুষ্ক ধর্মাচরণ, লোভী
যাজকবংশীয় ব্রাহ্মণকূলের অর্থের বিনিময়ে ঈশ্বরোপাসনা
ইত্যাদির বেড়াজালে পুনরায় জর্জরিত সমাজ!
সংস্কারের বদ্ধমূল ধারণায় কঠিন ভূমিতে
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক
ধর্মীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বঙ্গদেশ
তথা ভারতবর্ষের মানবসভ্যতায় তখন চলেছে আলোছায়ার
ক্রমাগত অনুবর্তন। দীর্ঘকাল
যবনকুলের শাসনাধীন থাকার পরে ইংরেজ
শাসনের করাল ছায়া, ভারতের
সনাতন পরম্পরাকে তিলে তিলে বিপন্ন
করতে থাকে। এমতাবস্থায়
এলো সেই সুসময়।
যেন সুদূর কালাতীত পাঞ্চজন্য
ধ্বনিত হলো ভারতের আধ্যাত্মসমাজে। এলো
সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাল।
সরিৎশ্রেষ্ঠার কূলবর্তী শ্রীচৈতন্য ও নিত্যানন্দের লীলামাধুর্য্যে
সিক্ত পুণ্যভূমি শান্তিপুরের 'আতাবুনিয়া গোস্বামী' বংশে আবির্ভূত হলেন
অদ্বৈতাচার্য্যের দশম উত্তরসূরী, শ্রীমৎ
আনন্দকিশোর গোস্বামী ও শ্রীমতী স্বর্ণময়ী
দেবীর দ্বিতীয় সন্তান যুগস্রষ্টা করুণানিধি
শ্রী শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। পিতা
আনন্দকিশোর গোস্বামী ছিলেন সংসারি-সাধক। বৈদিকশাস্ত্রে
অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী পরমভগবত আনন্দকিশোর এতটাই নির্লিপ্ত বাসনাহীন
এবং ঈশ্বরপ্রেমময় জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন এবং গঙ্গাজলের
প্রতি তাঁর এতটাই বিশ্বাসবোধ
ছিলো যে, শান্তিপুরবাসী তাঁকে
'খড়িধোয়া গোঁসাই' নামেই চিনতেন।
কুলদেবতা তথা ইষ্টদেবতা শ্রী
শ্রী শ্যামসুন্দর জিউয়ের নিত্যসেবা ব্যতীত
কোনোদিন জলস্পর্শও করতেন না।
শাস্ত্রপাঠ বা নিভৃতে জপ-ধ্যান, পুরশ্চরণাদি ক্রিয়ার
সময়ে তাঁর শরীরে বিভিন্ন
সাত্ত্বিক বিকারের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ফুটে উঠতো।
গোস্বামী বংশের ইতিহাস থেকে
জানা যায়, ১৮৩৭ খ্রীস্টাব্দে
শ্রীক্ষেত্রপতি জগন্নাথ দর্শনের মানসে তিনি যাত্রা
শুরু করেন। শান্তিপুর
থেকে সাষ্টাঙ্গ প্রণামের দণ্ডী খাটতে খাটতে
প্রায় দেড়'বছর পরে
নীলাচলে পৌঁছান। জগন্নাথ
দর্শনের সাথে সাথেই সমাধিস্থ
হয়ে পড়েন। ইষ্টের
নিরাকৃত ভগবৎসত্ত্বার পূর্ণরূপ দর্শনে কৃতার্থ হ'ন। সেই
রাতেই শ্রী শ্রী জগবন্ধু
স্বপ্নে প্রকট হয়ে আনন্দকিশোরের
প্রতি আদেশবাক্য দে'ন, "তুই
বাড়ী ফিরে যা।
তোর সাধনে সন্তুষ্ট হয়ে,
আমি তোর কনিষ্ঠ পুত্ররূপে
জন্মগ্রহণ করবো।"
আনন্দকিশোরের
সহধর্মিণী শ্রীমতী স্বর্ণময়ী দেবী ছিলেন গোস্বামী
বংশের একজন আদর্শ পুত্রবধূ। দয়ামায়া,
মমতা, স্নেহবাৎসল্যের এক জীবন্ত প্রতিমূর্তি। তাঁর
পিতৃকুলের নিবাস, নদীয়া জেলারই
শিকারপুর অঞ্চলে। যথার্থ
সাধনসঙ্গিনী রূপে স্বর্ণময়ী ছিলেন
আনন্দকিশোরের ছায়াস্বরূপ ব্যক্তিত্ব। শ্রীক্ষেত্র
থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে আনন্দকিশোর একদিন
সহসাই নিজের যোগবিভূতির মাধ্যমে
স্বর্ণময়ীর গর্ভে জগন্নাথ প্রদত্ত
আশীর্বাদকে প্রেরণ করেন।
অতঃ ১৮৪১ সালের ২রা
আগষ্ট শুভ ঝুলনপূর্ণিমা তিথিতে। একদিকে
পূর্বপুরুষকে প্রদত্ত ভগবৎসত্ত্বার প্রতিশ্রুতিবাক্য অপরদিকে পিতাকে প্রদত্ত স্বয়ং
ভগবানের আশীর্বাদবাক্য, উভয়ের ঐশ্বর্য্যে পরিপূর্ণ
বিজয়কৃষ্ণ অবতীর্ণ হলেন একদিকে পাণ্ডিত্য
ও আচার্য্যপদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
রূপে অপরদিকে পরিত্রাতা সাধনস্রষ্টা সদ্গুরু রূপে। দেশ
ও কালের ব্যবধানকে অতিক্রম
করে, অসংখ্য ঘটনাবৈচিত্রের মধ্যদিয়ে
ভগবৎসত্ত্বারূপী কল্পপুরুষদের জীবনে প্রথম জাগতিক
প্রকাশমানতার একটা সংগতি অবশ্যই
বিরাজ করে। কল্পপুরুষগণেরা
কখনই সোনার পালঙ্কে ধনীর
দুলাল রূপে অবতীর্ণ হন'না। তাঁরা
আসেন দারিদ্রের ছায়ায়, তিমির-নিবিড়
রাত্রে প্রদীপশিখায় আলোকিত পর্ণকুটিরে অনাড়ম্বর,
অনৈশ্বর্য্যের নিস্পৃহতার সঙ্কল্পকর্তারূপে। দ্বাপরে
মথুরারাজ কংসের কারাগারে শিকলবন্দী
মাতৃগর্ভে অবতীর্ণ হয়েছেন পরমভগবৎ রাজর্ষি
শ্রীকৃষ্ণ, শাক্যবংশতিলক শ্রীমান সিদ্ধার্থ জন্ম নে'ন
লুম্বিনীকাননে, জেরুসালেমের এক আস্তাবলে আবির্ভূত
হ'ন করুণাবতার মহাত্মা
যীশু; আমাদের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর
আবির্ভাবস্থান যথাক্রমে নিমবৃক্ষের নীচে; কামারপুকুরে ঢেঁকিশালায়
জন্মান পরমহংস গদাধর এবং
সদ্গুরু বিজয়কৃষ্ণের জন্ম হ'লো
শিকারপুরের মাতুলালয় পার্শ্ববর্তী কচুবনে। মাতা
স্বর্ণময়ী দেবী পরবর্তীতে বারংবার
কনিষ্ঠ সন্তান বিজয়কৃষ্ণ'কে
স্নেহের 'কচুবুনো' সম্বোধনে ডেকেছেন।
পূর্বপরিকল্পিত
বিধানকর্তার নির্মম পরিহাসে ১৮৪৪
খ্রীস্টাব্দে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন শাস্ত্রপাঠকালে স্বজ্ঞানে
লোকান্তরিত হ'ন পরমভবগৎ
শ্রীমৎ আনন্দকিশোর গোস্বামী। কনিষ্ঠ
পুত্রের বয়স তখন মাত্র
তিন বছর! মায়ের সান্নিধ্যেই
ভরণপোষণ হতে থাকে বিজয়কৃষ্ণের।
খুব অল্পবয়স থেকেই বিজয়কৃষ্ণের মধ্যে
সত্যবাদীতা, নির্ভিকতা ও দয়ালু প্রভৃতি
সাত্ত্বিক মনোভাবের স্ফুরণ ঘটতে থাকে। বাল্যকালের
বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর
মধ্যে লক্ষিত হয়েছে ভবিষ্যতের
যুগস্রষ্টার প্রতিচ্ছবি। কুলপ্রথা
অনুসারে ছয়বছর বয়সে প্রথম
গর্ভধারিণীর কাছেই মন্ত্রদীক্ষা লাভ
করেন 'কচুবুনো' বিজয়। ১৮৫০
সালে উপনয়ন সংস্করণের পরে
ভর্তি হ'ন সংস্কৃত
পাঠশালায়। ছাত্র
হিসাবেও প্রথম থেকেই তিনি
মার্জিত, একনিষ্ঠ, স্বাধ্যায়বান এবং গুরুগতপ্রাণ শিষ্যের
পরিচয় দিয়েছেন। ভগবান
সরকারের পাঠশালায় মুগ্ধবোধ ব্যকরণ পাঠান্তে পণ্ডিতপ্রবর
বনমালী ভট্টাচার্য্যের পাঠশালায় সংস্কৃত সাহিত্যের পাঠ শুরু করেন,
এরই সঙ্গে আচার্য্যদেব কৃষ্ণগোপাল
গোস্বামীর চতুষ্পাঠীতে চলতে থাকে বৈদিক
পাঠের নিয়মিত তালিম।
বেদ পাঠের মহড়া চলতে
চলতেই বৈদান্তিক পাঠের উৎসাহে কাশী
যাত্রার সঙ্কল্প নে'ন, সময়কাল
আনুমানিক ১৮৫৮ খ্রীস্টাব্দ।
তৎকালীন কাশী ছিলো, বৈদান্তিক
দর্শনের একটি পীঠস্থান।
কিন্তু, বিভিন্ন কারণে কাশী যাওয়ার
পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি দেশে
ফিরে আসতে বাধ্য হ'ন। কোনোরকম
নিরুৎসাহ না হয়ে, কোলকাতায়
সংস্কৃত কেলজে ভর্তি হ'ন। এই
কলেজে পাঠরত অবস্থায় তাঁর
ব্যক্তিত্ববোধ, তেজস্বীতা, সত্যপ্রিয়তা এবং কষ্টসহিষ্ণু মনোভাবে
সকলেই আপ্লুত হ'ন।
সংস্কৃত
কলেজের পাঠ চলাকালীনই রামচন্দ্র
ভাদুড়ীর জ্যেষ্ঠাকন্যা শ্রীমতী যোগমায়া দেবীর সঙ্গে শ্রীমান
বিজয়কৃষ্ণ পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হ'ন।............ ক্রমশ
তথ্যসূত্রঃ
শ্রীমান্ শঙ্খ
No comments:
Post a Comment