Tuesday, May 21, 2019

শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী পর্ব-৪


রত্নগর্ভা ভারতভূমি পর্ব
 আজ প্রকাশিত হল শ্রীমান্ শঙ্খের লেখা সদগুরু শ্রী শ্রীমৎ অচ্যুতানন্দ সরস্বতী(শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী) পর্ব-, সঙ্গে থাকুন বনেদীয়ানার.... আলোচনায় আজ শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী পর্ব-
সদগুরু  শ্রী শ্রীমৎ অচ্যুতানন্দ সরস্বতী
(শ্রীমৎ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী)


#তৃতীয়_পর্বের_লিঙ্ক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2358201471083167&id=2300280956875219


#চতুর্থ_পর্ব


অবশেষে বহু ক্লেশে বিজয়কৃষ্ণ এসে পৌঁছালেন গয়ায় বহু স্থান ভ্রমণ করে মনোমত সাধনানুকূল সৎসঙ্গ না পাওয়ায় অগত্যা শ্বাপদসংকুল আকাশগঙ্গা পাহাড়ে উপনীত ' এখানে পৌঁছেই অযাচিতভাবে দেখা হয় জ্ঞানগঞ্জ নিবাসী মহাত্মা শ্রী শ্রীমৎ ব্রহ্মানন্দ পরমহংসের সঙ্গে গোস্বামী' পৌঁছানোর অনেক আগে থেকেই তিনি সেখানে সূক্ষ্মদেহে অপেক্ষা করছিলেন শুধুমাত্র সঠিক সময়ের অপেক্ষায়
পরমহংস জিউ সূক্ষ্মদেহের পঞ্চতত্ত্বের সাথে জাগতিক পঞ্চতত্ত্ব মিশিয়ে কায়াকল্প যোগ অবলম্বনপূর্বক পার্থিব শরীর ধারণ করে বিজয়কৃষ্ণের সামনে প্রকট ' এরপরে আকাশগঙ্গা পাহাড়ের শিখরদেশে পৌঁছে, এক শিলার উপরে বিজয়কৃষ্ণকে নিজের কোলে বসিয়ে সাধনমন্ত্র এবং বৈদিক প্রাণায়াম প্রণালী দান করেন সময়কাল ১৮৮৩ খ্রীস্টাব্দ
দীক্ষাপ্রাপ্তির পরেই গোঁসাই সম্পূর্ণ অচৈতন্য হয়ে পড়েন এবং এগারোদিন যাবৎ অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর অন্তঃকরণে গুরুকৃপায় সমস্ত তত্ত্ব, যোগ, বিভূতি, সিদ্ধি, ঐশ্বর্য্য প্রকট হয়ে সম্পূর্ণ জাগতিক মোহমুক্তি ঘটে এই সময়ে স্থানীয় রঘুবর দাস বাবাজী নামক এক সিদ্ধ মহাত্মা সমাধিস্থ বিজয়কৃষ্ণের স্থূল শরীরের পরিচর্যা করেন
জাগতিক সংজ্ঞালাভের পরে তিনি চলে আসেন বারানসীতে গুরুর আদেশে কাশীর দশনামী আশ্রমস্থিত মহাত্মা স্বামী হরিহরানন্দ সরস্বতী জিউয়ের কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন সন্ন্যাসী হওয়ার পরে পূর্বাশ্রমের নাম পাল্টে বিজয়কৃষ্ণের নতুন নামকরণ করা হয়, অচ্যুতানন্দ সরস্বতী
বেগবতী নদীর মতো গোস্বামী প্রভুর অন্তঃকরণ জাগতিক অস্থায়ী মোহের জাল ভেদ করে তাঁকে নিয়ে গেলো পরমতত্ত্বের কাছে দীক্ষা সন্ন্যাস গ্রহণের পরে গুরুর নির্দেশে চলে যান বিন্ধ্যাচলে সেখানে গিয়ে পূর্বাশ্রমকৃত প্রারব্ধ মুক্তির ব্যকুলতায় বিশ্বনিয়লস্থিতা বিন্ধ্যবাসিনী জগন্মাতার চরণে সমর্পণ করে দেন নিজেকে এরপরে নামাগ্নির জ্বালায় অস্থির অবস্থায় আবার গুরুনির্দেশে চলে যান জ্বালামুখীতে সেখানেও অগ্নিরূপী বিধাতৃবরদার কৃপায় সমস্ত রকম জ্বালাবোধ বা অন্তঃকরণের শুষ্কতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পা' গয়ার আকাশগঙ্গায় দীক্ষা পাওয়ার মাত্র দু'বছরের মাথায় পূর্বকৃত সুকৃতি, বংশধারা এবং গুরুনির্দেশিত পন্থায় একাগ্র মনঃসংযোগ দ্বারা পুরশ্চরণাদি ক্রিয়ার গুণে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সাধক সামজে এক বরেণ্য মহাত্মারূপে আসন পা' এই সময়েই, তাঁর গুরু শ্রীমৎ ব্রহ্মানন্দ পরমহংস জিউ তাঁকে "সদ্গুরু" পদে বরণ করেন
পরমহংস কর্তৃক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীকে প্রদত্ত শাস্ত্রানুমোদিত এবং সাম্প্রদায়িকতা বর্জিত সাধন, সম্পূর্ণ গুরুকৃপা সাপেক্ষ; কোনোভাবেই বংশপরম্পরাগত নয় ঋষিমুণিদের কলিজার ধন এই সাধন পূর্বাতিপূর্ব কল্পে ভারতবর্ষীয় ঋষিকুলের মধ্যে প্রচলিত ছিলো বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর দৌলতে, এবারে সেই সাধন গৃহস্থরাও পেয়ে ধন্য হতে থাকলো এই সাধন শুধু মর্তমায়ার ছলনা থেকে মুক্তি বা ব্রহ্মসাযুজ্যই দান করে না, সঙ্গে সাধককে নিত্য প্রেমভক্তি লাভের অধিকারী করে এই সাধনে মুক্তির আনন্দের চেয়েও অধিক সুখ ভগবানের সঙ্গে বিচিত্ররূপে নিত্যলীলার পার্শ্বসহচর হয়ে বিরাজ করায় কোনো দুশ্চর তপস্যায় 'বস্তু লাভ করা যায়না; শুধুই তাঁর অহৈতুকী কৃপার দান সদ্গুরু বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর করুণাধারা গয়ার আকাশগঙ্গা পাহাড় থেকে নেমে এলো ধরাতলে, আর তা ব্যপ্ত হয়ে পড়লো সর্বত্র যেভাবে গঙ্গোত্রী থেকে প্রবাহিত গঙ্গা বা অমরকন্টকের পর্তমুখজাত সরিৎশ্রেষ্ঠা নর্মদা ধরণীকে করে পবিত্র ধন্য
কোলকাতায় ফিরে আসার পরে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের মতো ত্যাগময় অজগরবৃত্তীয় জীবনযাপনে উদ্যোগ নিতেই গুরুদেব শ্রী ব্রহ্মানন্দ পরমহংসদেব প্রকট হয়ে তাঁকে আরও কয়েকদিন সংসারী জীবের ন্যয় ব্রাহ্মসমাজে থাকার আদেশ দান করেন স্ত্রীপুত্রকন্যা নিয়ে সংসারে থেকে নিজ ধর্মসাধনায় সাধনদানে ব্রতী ' গোস্বামী প্রভুর পাঁচ সন্তান ছিলেন পুত্রের নামঃ শ্রী যোগজীবন গোস্বামী কন্যারা যথাক্রমেঃ শ্রীমতী সন্তোষিণী, শ্রীমতী শান্তিসুধা, শ্রীমতী প্রেমমালা শ্রীমতী প্রেমসখী
ব্রাহ্মসমাজে প্রত্যাবর্তনের পরে আকস্মিকভাবেই দেখা হয় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে তিনি চমকে উঠে গোঁসাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "তোমাকে যে সম্পূর্ণ নতুন মানুষ দেখছি! এবস্তু পেলে কোথায়! পেলেই বা যদি, তাহলে এখানেই আবার এলে কেন? ব্রাহ্মসমাজ তোমার এই অমূল্য সম্পদের মর্যাদা দেবেনা, এই দেবদূর্লভ বস্তুর সান্নিধ্যে থাকতে হলে সমাজের আশ্রয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ত্যাগ করাই শ্রেয়!"
এরপরেই শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে তাঁর সাথে পুনর্মিলন তিনি গোঁসাইকে অপলক দৃষ্টিতে নীরিক্ষণ করতে করতে ভাবের ঘোরে বলে ওঠেন, "বিজয় সাচ্চা বাসা পাকড়েছে এতদিন ওর অন্তরে অমৃত-ফোয়ারা চাপা পড়ে ছিলো এতদিনে সঠিক মাধ্যমে খুলে গেছে!"
এই সময়ে সমাজে থাকাকালীন বিভিন্ন আলোচনা সভায় নিরাকার ব্রহ্মের প্রসঙ্গে বলতে বলতে, তাঁর অন্তর্দৃষ্টিতে শ্রীমৎ চৈতন্যদেব তথা বহু সাধু মহাত্মা, দেবদেবী, কুলদেবতা শ্যামসুন্দর প্রমুখেরা প্রকট হতেন নিরাকার-সাকার, নির্গুণ-সগুণ, ব্রহ্মোপাসনা, রাধাকৃষ্ণ প্রমুখ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো উগ্র নিরাকারবাদী ব্রাহ্মরা স্বভাবতই এই সরস বাতাবরণ মেনে নিতে পাড়লেন না এসব সঙ্কীর্ণ মতাদর্শগত কারণে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর পক্ষে আর ব্রাহ্মসমাজে বাস করা সম্ভব হলোনা ১৮৮৬ খ্রীস্টাব্দে তিনি পূর্ববঙ্গের ঢাকায় ব্রাহ্মসমাজের আচার্য্যপদ গ্রহণ করেন এই সমাজগৃহে ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের পাশাপাশি তিনি অনেককেই সাধনদান করেছিলেন এঁদের মধ্যে শ্রী শ্রীমৎ কুলদানন্দ ব্রহ্মচারী, শ্রীযুক্ত শ্রীধর ঘোষ, শ্রীযুক্ত হরিদাস বসু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ব্রাহ্মসমাজে থাকাকালীন বহু চিন্তাশীল প্রবন্ধের সারস্বত সৃষ্টি হয় শ্রী গোস্বামী প্রভুর হাতে ঢাকা, কাঁকনিয়া সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে তিনি যেসকল আলোচনাসভায় যোগদান করেন বা যেসব কালজয়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেগুলি পরবর্তীকালে 'বক্তৃতা উপদেশ' 'করুণাকণা' নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় সেসময়ে বহু পত্র পত্রিকায় গোস্বামী রচিত বহু আলোচনাবিষয়ক তত্ত্বাবলী তৎকালীন সুধিসমাজের পরম আদরের বিষয়বস্তু রূপে আদৃত হতো যা পরবর্তীতে "শ্রী শ্রী বিজয়কৃষ্ণ রচনাবলী" শীর্ষক গ্রন্থে পূর্ণাঙ্গে সংকলন করা হয় লোকোত্তর পুরুষ বিজয়কৃষ্ণের মধ্যে ছিলো মানবাত্মা বিকাশের অন্তর্নিহিত প্রেরণা ঢাকায় অবস্থানকালেই মাঝে কোনো এক সময়ে তিনি সপরিবার শিষ্য মহাপীঠ কামাক্ষা বশিষ্ঠ দর্শন করে আসেন
পূর্ববঙ্গে আয়োজিত ব্রাহ্মমন্দিরের বিভিন্ন সভায় গোঁসাইয়ের উদ্দিপনাময় বক্তৃতা পরবর্তীকালের বহু ঘটনাবলী প্রত্যক্ষ শিষ্য শ্রীমৎ কুলদানন্দ ব্রহ্মচারী কর্তৃক ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন, যা আরও পরবর্তীতে "শ্রী শ্রী সদ্গুরু সঙ্গ" শীর্ষক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শিষ্য কুলদানন্দ, গুরুর নির্দেশে এই ভাবরাজ্যের ইতিহাস সযত্নে সংরক্ষণ করে যান কথাপ্রসঙ্গে গোঁসাই বহুবার প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে বলেছেন, "ব্রহ্মচারী যা লিখছে, একশোবছর পরে তা এদেশে শাস্ত্রের মর্যাদা পাবে"
পূর্ববঙ্গে থাকাকালীন বারদীর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে বিজয়কৃষ্ণের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তিনি গোস্বামী'কে "জীবনকৃষ্ণ" সম্বোধনে ডাকতেন এই লোকনাথ ব্রহ্মচারী গোঁসাই সম্পর্কে বলতেন, "ঋষিমুণিদের পরম গুহ্যজ্ঞান, তপস্যার পরমধন, এই নামসাধনাকে কেমন গৌরাঙ্গের মতো আচণ্ডালে অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছে দ্যাখো!"
ঢাকা ব্রাহ্মসমাজে অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন গোস্বামীর নামসংকীর্তন, ভাবের ঘোরে খোল-করতাল সহযোগে নৃত্য, হিন্দু দেবদেবীদের প্রশস্তি বা স্তবস্তুতি বন্দনা ইত্যাদি গোঁড়া ব্রাহ্মদের নজরে ক্রমে অপ্রিয় হয়ে উঠলো কারণ সেই উদার, সম্প্রদায়-সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠার ক্ষমতা ব্রাহ্মদের মধ্যে ছিলোনা সেসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই আড়ালে বা প্রকাশ্যে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠলেন এরই ফলস্বরূপ গোঁসাইকে প্রচারকের পদত্যাগ করতে হয় ১৮৮৭ খ্রীস্টাব্দের ৬ই জুন তিনি ঢাকার ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগ করলেন পদত্যাগপত্রে লিখে যান,

"যাহা সত্য, তাহাই ধর্ম ধর্মই সার্বভৌম সত্য ইহাতে কোনোপ্রকার দলাদলি নাই একারণেই আমি যেখানে সত্য পাই এবং যাহা সত্য বলিয়া বুঝি তাহাই সর্বান্তকরণে গ্রহণের পন্থা অবলম্বন করিয়া থাকি সেই সত্যের প্রকাশে কোনো ব্রাহ্ম বা হিন্দু বা বৌদ্ধ বা জৈন বা খ্রিষ্টিয় প্রভৃতির কোনো ভেদবুদ্ধি আমার অগোচরে আসেনা আমি সকল সত্য মতাদর্শের দাসানুদাস আমি কোনো সম্প্রদায়ভুক্ত নই, অথচ সকল সম্প্রদায়ই আমার যেখানে যতটুকু সত্য সেখানেই আমার বাস"

তাঁর মতে, "প্রকৃতিগত স্বভাবের নামই ধর্ম অর্থাৎ, আগ্নির আগ্নিত্ব স্বভাবের নামই আগ্নেয় ধর্ম তেমনই, স্থাবরজঙ্গমাদি ভেদে সকল জীবের স্বভাবই সংশ্লিষ্ট প্রজাতির ধর্ম"

কালের নিয়মে ব্রাহ্মধর্মে প্রয়োজনীয়তা শেষ 'লে গোস্বামী প্রভু ফিরে আসেন ভক্তি সরসতায় সত্যের পূজারি বিজয়কৃষ্ণের জীবনে বারংবার এসেছে রূপান্তরের লগ্ন আদর্শগত তরঙ্গাঘাতে জীবননদী পথপরিবর্তন করেছে বারবার প্রথম জীবনে ব্রহ্মোপাসনা, মধ্যপর্বে যোগসাধনা এবং অবশেষে ভক্তিসাধনায় সিদ্ধিলাভ করে জীবোদ্ধার কাজে মহাব্রতী ' এরপরে তিনি একরামপুরে বাড়ীভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন এখানে থাকাকালীন ১৮৮৮ খ্রীস্টাব্দে পূর্বপুরুষ শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্য্যের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে ঢাকা শহর জুড়ে এক সংকীর্তন সমুদ্রের আয়োজন করা হয় লোকসমুদ্র ভাবতরঙ্গে ভাসতে থাকে
বছরই ৩১শে আগস্ট জন্মাষ্টমীর দিন ঢাকার অদূরে শ্বাপদসংকুল গেণ্ডারিয়ায় বুড়িগঙ্গার তীরে প্রথম আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয় অগণিত শিষ্যকুলের অযাচিত দানে গড়ে ওঠে নামসাধন প্রবক্তা সদ্গুরু বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রথম স্থায়ী আস্তানা এই আশ্রমে তাঁর সাধনকুটিরের উত্তরদিকের বাইরের দেওয়ালে স্বহস্তে খড়িমাটি দিয়ে একটি ত্রিকোণ মণ্ডলীয় ধ্বজা-চিহ্ন আঁকেন এবং লিখে যান,

"।।ওঁ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যায় নমঃ।।"

সঙ্গে আরও লেখেন,

"এইছা দিন নাহি রহেগা
) আত্মপ্রশংসা করিও না
) পরনিন্দা করিও না
) অহিংসা পরমো ধর্মঃ
) সর্ব্বজীবে দয়া করো
) শাস্ত্র মহাজনদিগকে বিশ্বাস করো
) শাস্ত্র মহাজনের আচারের সঙ্গে যাহা মিলিবে না, তাহা বিষবৎ ত্যাগ করো
) নাহংকারাৎ পরো রিপুঃ"............. ক্রমশ
তথ্যসূত্রঃ শ্রীমান্ শঙ্খ


No comments:

Post a Comment