অনন্য দোলউৎসবঃ-
বনেদীয়ানা পরিবার বহুদিন ধরেই বিভিন্ন মন্দির ও পরিবারের দোল উৎসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। আজও এক অনন্য মন্দিরের রীতিনীতি ও মন্দির প্রতিষ্ঠার কিছু কথাই তুলে ধরল বনেদীয়ানা। প্রকাশিত হল বাঘাযতীনের কৃষ্ণকালী মন্দিরের ইতিহাস, লিখলেন শুভদীপ,সঙ্গে ছিলেন শ্রীমান্ অনিক সরদার ও
শ্রীমান্ ঋষভ ঠাকুর। চলুন দেখা যাক সেই মন্দিরের রীতিনীতি।
অনন্য কলকাতার কৃষ্ণকালী মন্দিরঃ- বাঘাযতীন
...মিছে রে তোর বাছাবাছি, কৃষ্ণ-কালী কাছাকাছি।
ও তুই যে নদীতে ভাসবি রে মন, মহনা যে পাবি।
চরণ খুঁজে পাবি, ওরে চরণ খুঁজে পাবি।
ও
মন কোন নদীতে ভাসলে রে তুই, সাগর কাছে পাবি।।.....
অনন্য কৃষ্ণকালী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ১৩ই শ্রাবণ, ১৩৭৩ বঙ্গাব্দে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীমতী গীঁতা দেবী। গীঁতা দেবী ছিলেন দেবী কালিকার সাধিকা, তিনিই স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজের বসতবাড়িতে। কৃষ্ণ-কালীর ভেদ যে নেই অর্থাৎ যে কৃষ্ণ সেই কালী এই অভেদ কল্পনা করেই তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন এই মন্দির। পরিবারের সদস্য শ্রী কেশব সাহা মহাশয় জানান যে গীঁতা মায়ের কোন গুরুদেব ছিলেন না, স্বপ্নাদেশেই তিনি মন্ত্র লাভ করেছিলেন।
উল্লেখ্য যে শুধুমাত্র বার্ষিক মহোৎসবই নয় প্রতিমাসের বাংলার ১৩তারিখে মন্দিরে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এছাড়া নিত্য ভোগ নিবেদন, পূজাপাঠও করা হয়। সামনেই দোল উৎসব, কৃষ্ণ-কালী মন্দিরেও দোল উৎসব পালন করা হবে। ভোগ সম্পূর্ণ নিরামিষ প্রদান করা হয় ও বৈষ্ণবমতে পুজো হয় এই কৃষ্ণকালী মন্দিরে। ভোগে থাকে সাদাভাত, খিচুড়ি, নানান রকমের ভাজা, তরকারি, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। যে রীতিতে গীঁতা দেবী পূজা করতেন সেই একই রীতিতে আজও পুজো পেয়ে আসছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও দেবী কালিকা। দোল উৎসব ছাড়াও বিভিন্ন অমাবস্যা তিথিতেও বিশেষ পুজো হয়, দুর্গাপুজোর মহাষ্টমী, মহানবমী, অন্নপূর্ণাপুজো, দীপান্বিতায় বিশেষ পূজা, হোম হয়ে থাকে। কলকাতায় এমন অনন্য মন্দির এই একটিই রয়েছে, বনেদীয়ানা পরিবারের পক্ষথেকে সাহা পরিবারের সকল সদস্য এবং সদস্যাদের জানাই আগাম দোলউৎসবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সাধারণ ভক্তবৃন্দের দর্শনের সময় সকাল ৬টা থেকে ১১টা এবং বিকাল ৫.৩০টা থেকে ৮টি অবধি।
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ- শ্রী কেশব সাহা মহাশয়
তথ্য লিপিবদ্ধেঃ- শুভদীপ রায় চৌধুরী
No comments:
Post a Comment