Thursday, September 12, 2019

ঐতিহ্যের দুর্গাপুজোঃ- বেলেঘাটার কালো দুর্গা


ঐতিহ্যের ইতিহাসপর্বঃ
 আজ প্রকাশিত হল বেলেঘাটার কালো দুর্গার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলেন বনেদীয়ানা পরিবারের সদস্যা শ্রীমতী দেবযানী বসু চলুন দেখা যাক সেই বাড়ির ইতিহাস
ঐতিহ্যের দুর্গাপুজোঃ- বেলেঘাটার কালো দুর্গা
দেবী দুর্গার ধ্যানমন্ত্রে পাওয়া যায় তাঁর গাত্রবর্ণ অতসী পুষ্পবর্ণের মতন বেশিরভাগ মাতৃমূর্তিতেই তাই অতসীপুষ্প বর্ণের ছোঁয়াই আমরা দেখতে পাই কিন্তু অনেকেই জানেন না হিমালয়ের পাদদেশের তরাই অঞ্চলে কোথাও কোথাও কৃষ্ণবর্ণের অতসীপুষ্প ফোটে যা অতি দুষ্প্রাপ্য দেবীর বোধহয় কখনও সাধ জেগেছিল এমন কৃষ্ণবর্ণার রূপে আবির্ভূতা হতে তাই তিনি কাউকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, কারুর হাত দিয়ে বিশেষ পুঁথি পাঠিয়েছিলেন পূজার মূল উপকরণ হিসাবে
 পূজার ইতিহাস ২৮৮বছরের পুরানো ওপার বাংলার শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য্য ছিলেন পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুরের জমিদার জমিদার বাড়িতেই কৃষ্ণবর্ণা মা দুর্গার আবির্ভাব ঘটে প্রথম নাটরের রাণী ভবানী হরিদেব ভট্টাচার্য্যকে স্থলবসন্তপুরের জমি-জায়গা প্রদান করেন এই পরিবার অনেক আগে থেকেই কালী পুজো করে আসছিল রানী ভবানীর আমলেই দুর্গাপুজো শুরু হল কারণ মা যে বারবার স্বপ্নে দেখা দিচ্ছেন হরিদেবকে কিন্তু মায়ের এই বিচিত্র কৃষ্ণবর্ণ কেন? উত্তর খুঁজতে ভাটপাড়া, কাশীর পণ্ডিতদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি কিন্তু কোন মতই মনঃপূত হল না তাঁর একদিন আনমনা হয়ে কাশীর গঙ্গার ঘাটে বসে আছেন, এক সাধু এসে বললেন-'কেয়া হুয়া বেটা?' সমস্ত কথা শুনে সেই সাধু বললেন ভদ্রকালীরূপে পুজো করো মায়ের এমন রূপেই মা আসবেন তোর কাছে দিলেন তালপত্রে লেখা পুঁথি যার সংক্ষিপ্ত রূপ অনুসরণ করেই আজও পুজো হয় দেবীর
 দেশভাগের পর এপার বাংলায় চলে এলেও পুজোয় ভাটা পড়েনি কখনও বেলেঘাট অঞ্চলে ভট্টাচার্য্য পরিবার পুজো করে আসছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে শক্তমতে পুজো হয় মায়ের আগে বলিদান প্রথা থাকলেও এখন সেই প্রথা বন্ধ চালকুমড়ো বলি হয় নবমী সন্ধিপুজোতে সকালে নিরামিষ আর রাতে আমিষ ভোগ মাকে আপ্যায়ন করা হয় সন্ধিপুজোতে থাকে মাছভাজা, দশমীতে পান্তাভাত, দই, কলা তারপর মায়ের বিসর্জন পর্ব শুরুহয়
 তথ্যসূত্রঃ- শ্রীমতী দেবযানী বসু(সাংবাদিক)



No comments:

Post a Comment