বাড়ির উমাবন্দনাঃ-
আজ এক অন্যধরনের তথ্য লিপিবদ্ধ করা হল বনেদীয়ানা'য়, নবীন বাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে, সেই বাড়ির পুজো নবীন হলেও সেই পুজোয় আন্তরিকতা আর নিষ্ঠার কোন অংশ কম নেই। তাই বনেদীয়ানা পরিবার বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাসের সাথে সাথে এই নবীন বাড়ির পুজোর কিছু রীতিনীতিও তুলে ধরল। হ্যাঁ,ব্যারাকপুর অঞ্চলের মন্ডল পরিবারের দুর্গাপুজোর কথাই বলছি। লিখলেন বনেদীয়ানা পরিবারের সদস্য শ্রীমান শুভদীপ রায় চৌধুরী। চলুন দেখা যাক সেই পুজোর সম্বন্ধে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য।
ব্যারাকপুরের মন্ডল পরিবারঃ- আন্তরিকতায়
দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে আন্তরিকতার মধ্যদিয়ে। নবীন পুজোই বলা যেতে পারে তবে পুজোর নিষ্ঠার কোন অভাব নেই। পুজোর সংকল্প হয় শ্রীশ্রীসারদাজননীর নামে। সপ্তমীর নবপত্রিকা স্নান হয় ব্যারাকপুর অঞ্চলের প্রাচীন অন্নপূর্ণা মন্দিরের ঘাটে। এই অন্নপূর্ণা মন্দির রাণী রাসমনির কন্যা জগদম্বাদেবী প্রতিষ্ঠিত, বাংলার ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের মধ্যে অন্যতম এই মন্দির। কলাবউ স্নানের পর তিনি মায়ের মন্দিরে আসেন এবং মন্দির প্রদক্ষিণের করেন তারপর দুর্গামণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বাড়ির রীতি হল পুজো শুরুর আগে নিমন্ত্রণ করা হয় অন্নপূর্ণা মন্দিরের মা অন্নপূর্ণাকে এবং বাগবাজারের শ্রীশ্রীসারদাজননীকে। সপ্তমী থেকে দশমী অবধি মায়ের আমিষ ভোগই নিবেদন করা হয়।
মহাষ্টমী আর সন্ধিপূজাতে চালকুমড়ো বলিদান হয়। দশমীর দিন ইলিশমাছ ভাজা, কচুর শাক, পান্তাভাত ইত্যাদি নিবেদন করা হয়। মহানবমীর দিন এই বাড়িতে নৃত্যাঞ্জলীর আয়োজন করা হয়। এই ভাবে আন্তরিকতার মধ্যদিয়ে পুজো হয় মন্ডল পরিবারে, মা সিংহবাহিনী পূজা নিতে আসেন এই পরিবারে।
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ- শ্রী ভাস্বর নন্দী
তথ্যসূত্র লিপিবদ্ধেঃ- শ্রীমান শুভদীপ রায় চৌধুরী
No comments:
Post a Comment