Friday, September 13, 2019

শিবপুরের ভট্টাচার্য্য বাড়িঃ- আভিজাত্য ও বনেদীয়ানায়


ঐতিহ্যের ইতিহাসপর্বঃ

 আজ প্রকাশিত হল হাওড়া শিবপুর অঞ্চলের ভট্টাচার্য্য পরিবারের দুর্গাপুজোর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলেন বনেদীয়ানা পরিবারের সদস্য শ্রীমান শুভদীপ রায় চৌধুরী চলুন দেখা যাক সেই বাড়ির ইতিহাস

শিবপুরের ভট্টাচার্য্য বাড়িঃ- আভিজাত্য বনেদীয়ানায়

 আজ থেকে প্রায় আনুমানিক ২০০-২৫০ বছর আগে জগন্নাথ সিদ্ধ বাগিস্ নামে একজন নিষ্কাম সাধু এই ভট্টাচার্য্য বাড়িতে এসে আশ্রয় চান এবং ভট্টাচার্য্য বাড়ির তৎকালীন গৃহকর্তা তাঁকে আশ্রয় দেন বেশ কিছু দিন থাকার পর তিনি মনস্থির করেন ভট্টাচার্য্য বাড়িতে দুর্গাপুজো করবেন তাই জন্মাষ্টমীর পুণ্যতিথিতে নিজের হাত মা দুর্গার কাঠামো তৈরি করেন এরপর দেবীপক্ষের শুভলগ্নে মহালয়ার দিন দেবীর চক্ষুদান করেন ছোটো আটচালার মধ্যে একচালচিত্রের মহামায়াকে প্রতিষ্ঠা করেন সেই থেকেই ভট্টাচার্য্য বাড়িতে দেবী পূজিতা হন মৃন্ময়ীরূপে এরপর জগন্নাথ সিদ্ধ বাগিস্ সাধুবাবার অবর্তমানে ভট্টাচার্য্য বাড়ির সদস্য জ্ঞান ভট্টাচার্য্য, শ্রী কৃষ্ণধন ভট্টাচার্য্য অন্যান্য সদস্যরা মিলে এই পুজোর রীতি বহন করেন এরপরে ভট্টাচার্য্য বাড়ির কোন এক সদস্য হঠাৎ মারা যাওয়ায় পুজো কিছুকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বেশ কয়েক বছর পর নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে আবার দেবীপুজো শুরু হয় দুর্গা বেদীর আটচালার এই অংশটুকু এখন দুর্গাদালান নামেই পরিচিত এই পুজোর আরম্ভ একটু মাহাত্ম্য আছে এই দুর্গা মন্দিরের পাশে শেতলা মাতার মন্দির রয়েছে ষষ্ঠীর দিন শেতলা তলায় আগে পুজো হয়, তারপর মা দুর্গার বোধন হয় এইভাবেই বছরের পর বছর ভট্টাচার্য্য বাড়িতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দশভুজা এই বাড়ির দুর্গাপুজোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এই বাড়ির কলাবউ কার্তিকের পাশে থাকে এইভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন প্রজন্মের সদস্যরা বয়ে নিয়ে চলেছেন মায়ের পুজোয় সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে পুজো হয় আজও হাওড়ার শিবপুরের ভট্টাচার্য্য বাড়ি
তথ্যসূত্রঃ- শ্রী জয়ন্ত প্রসাদ ভট্টাচার্য্য






No comments:

Post a Comment