দীপান্বিতাপর্বঃ-১২
আর অপেক্ষা ২দিনের, আগামী রবিবারই ঘরে ঘরে পালিত হবে আলোর উৎসব আতসবাজিতে আর পূজার মন্ত্রের মাধ্যমে। তার আগেই বনেদীয়ানা'র দীপান্বিতাপর্বের আজকের বিষয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার মুখোপাধ্যায় পরিবারের কালীপুজো, লিখলেন সদস্যা শ্রীমতী দেবযানী বসু। চলুন দেখা যাক সেই ইতিহাস।
দীপান্বিতায় মহেশতলার মুখোপাধ্যায় পরিবারঃ- দক্ষিণ ২৪পরগনা
দক্ষিণ ২৪পরগনার মহেশতলার কুমোরপাড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের দীপান্বিতা কালীপুজো অন্যতম পারিবারিক কুলাচার। আনুমানিক ৩০০বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই পরিবার মায়ের আরধনা নিষ্ঠাসহকারে করে আসছেন। এই পরিবারের কুলদেবতা শ্রীধর নারায়ণ, রয়েছেন ভবানী শঙ্কর মহাদেব। স্বর্গীয় রামচাঁদ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পত্নী স্বর্গীয়া হরসুন্দরীদেবী দক্ষিণা কালিকার পূজার সূচনা করেন তাঁদের গৃহে। সঙ্গে থাকে দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোও। বর্তমান প্রজন্মও একই ভাবে এই সমস্ত পুজো করে আসছেন অতি সুন্দুরভাবে। কার্তিকী অমাবস্যার রাত ১০টায় শুরু হয় পূজা। প্রহরে প্রহরে এগিয়ে চলে নানান উপাচার সহযোগে। মাকে নিবেদিত হয় মহাভোগ, পোনামাছের কালিয়া, শোলমাছ পোড়া, সঙ্গে থাকে সেই সময়ের সমস্ত রকমের ফল ও অসময়ের ফল। মধ্যরাত্রে পূজার মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ে হয় শসা, আঁখ, চালকুমড়ো বলিদান। আরতির পর ১০৮টি প্রদীপ ও পদ্ম নিবেদন করে আরাধনা- এ পরিবারের এক সুন্দর প্রথা। থাকে সধবা দীক্ষিত মহিলাদের ধুনোপোড়া অনুষ্ঠান। মাথায় মালসা রেখে ধুনো জ্বালান সংসার ও সন্তানের মঙ্গল কামনায়। অমাবস্যা কেটে গেলে আসে মায়ের বিদায়বেলা। নিরঞ্জনের পূর্বে মহিলারা বরণ করেন, প্রতিবছর একইভাবে পূজা গ্রহণ করার আকুতি জানান। দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। স্থানীয় পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় এবছরের মাতৃ আরাধনা।
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ- শ্রী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়
তথ্যসূত্র সংগ্রহেঃ- শ্রীমতী দেবযানী বসু
No comments:
Post a Comment