ঐতিহ্যের হৈমন্তীপর্বঃ- ৮
বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের বনেদীয়ানাতে জগদ্ধাত্রীপুজো নিয়ে পর্বালোচনা। আজ প্রকাশিত হল সাধক বামাখ্যাপার আশীর্বাদ ধন্য এক জগদ্ধাত্রীপুজোর কথা। লিখলেন বনেদীয়ানা'র সদস্যা দেবযানী বসু। চলুন দেখা যাক সেই কাহিনী।
ঐতিহ্যের হৈমন্তীপর্বে চট্টোপাধ্যায় পরিবারঃ-
কাহিনীর শুরু আরও আগে পশ্চিম বর্ধমানের
জামুরিয়া থানার
ইকরা গ্রামে দুশো
বছর
আগে| এক সাধু হৃষিকেশ বাবুকে বলেন
যে সর্প দংশনে
তাঁর মৃত্যু আছে| তবে তুমি যদি
কোন মহান সাধকের শরণাপন্ন হও তবে দোষ কেটে
যাবে| সেই রাতেই হৃষিকেশ বাবু স্বপ্ন দেখেন তারাপীঠে
কেউ তাঁর জন্য অপেক্ষা
করছে| কালবিলম্ব না করে তিনি
তারাপীঠে
পৌঁছান| সেখানে দেখেন বামাখ্যাপা তাঁর জন্য অপেক্ষা
করছেন| এরপর সাধনা ও সিদ্ধিলাভ| বামাখ্যাপা তিন বার এসেছেন
ইকরা গ্রামের
জমিদার বাড়িতে| শেষবার
এসে
হাতের
ত্রিশূলটি পুঁতে
দিয়ে
যান| বলেন এতে কালীপূজা করতে এবং মূর্তি
এনে
জগদ্ধাত্রী পূজা
করতে| সেই থেকে এই পরিবার পরিবার জগদ্ধাত্রী পূজা করে আসছে| আগে তিনদিন ধরে
হলেও এখন
নবমী
ও দশমী তিথিতে পূজা
হয়!| নানা উপাচার ও রাজভোগ সাজিয়ে
আয়োজন হয় জগদ্ধিতা মায়ের আরাধনা| সারা গ্রামের মানুষ যোগ
দেন এই পূজার আসরে|
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ- শ্রী যুবরাজ ব্যানার্জী
তথ্যসূত্র লিপিবদ্ধেঃ- দেবযানী বসু
No comments:
Post a Comment