কলকাতায় চণ্ডীপুজোঃ-
কলকাতার দুর্গাপুজো আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণের বিষয়বস্তু, ভারতের মানুষ ও ভারতের বাইরের দর্শনার্থীরাও আসেন কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময়। তেমনি
বড়িশার মানুষদের সবথেকে আনন্দের উৎসব হল বড়িশার চণ্ডীপুজো। প্রতিবছর এই পুজো ও মেলাকে কেন্দ্র করে বহু ভক্তসমাগম ঘটে। আজ বনেদীয়ানা'য় সেই ইতিহাসই প্রকাশিত হল। লিখলেন শুভদীপ, চলুন দেখা যাক সেই পুজোর ইতিহাস।
বড়িশার চণ্ডীপুজোঃ- ঐতিহ্য ও আভিজাত্যে
বড়িশার চণ্ডীপুজোর কথা আলোচনা করলে যে পরিবারের কথা বলতেই হয় সেই পরিবার হল সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, বঙ্গদেশে এই পরিবারের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বড়িশাগ্রামের তিলোত্তমা এই মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন সাবর্ণ বংশের সুসন্তান মহেশচন্দ্র রায় চৌধুরী। মহেশচন্দ্র ছিলেন সাবর্ণ বংশের কুলতিলক ও দক্ষিণবঙ্গের তৎকালীন সমাজপতি প্রবাদপ্রতিম পুরুষ রায় শিবদেব মজুমদার চৌধুরী ওরফে সন্তোষ রায় চৌধুরীর অধঃস্তন চতুর্থ পুরুষ। [শিবদেব-রামনাথ-রাধাকান্ত-হরচন্দ্র-মহেশচন্দ্র-হরিশচন্দ্র]। মহেশচন্দ্র ১৭৯২ সালে ধুমধামের সাথে চণ্ডীপুজো শুরু করেছিলেন নিজের বাসভবনে অষ্টধাতুর কলসী প্রতিষ্ঠা করে।
মহেশচন্দ্র নিজের বাসভবনে চণ্ডীপুজো শুরু করেছিলেন ভাটপাড়ার পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করে। সারাবছর নিত্য সেবাপুজো হয় এই বাড়ির চণ্ডীমন্দিরে আর বছরে একবার বার্ষিক মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং আয়োজন হয় বিরাট মেলার। শ্রীশ্রীদুর্গাষ্টমীর দুই-মাস পরে অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বার্ষিক মহোৎসব শুরু হয়। অতীতে এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সার্কাসের দল আসত। মহেশচন্দ্র রায় চৌধুরী দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন মায়ের মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে সেই দিন দেবীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হিসাবে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। মহেশচন্দ্র রায় চৌধুরীর পুত্র হরিশচন্দ্র রায় চৌধুরীর সময়ে বার্ষিক পুজোর জন্য চণ্ডীমন্দির তৈরি করা হয়।
চণ্ডীপুজোর সময় অষ্টমী ও নবমী তিথিতে বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। অষ্টমীর দিন চণ্ডীবাড়ি থেকে চণ্ডীমন্দিরে মায়ের জন্য ভোগ নিয়ে যাওয়া হয় তারপর চণ্ডীমন্দিরে দেবীর ভোগ নিবেদন হয়। এই কয়দিন চণ্ডীপুজো ও মেলাকে কেন্দ্র করে লোকসমাগম চোখে দেখার মতন।
**চণ্ডীবাড়ির বংশতালিকা প্রকাশিত হয়েছিল গতবছর চণ্ডীপুজোর সময় এই বছর আমরা সেই চণ্ডীবাড়ির বংশতালিকা তুলে ধরলাম***
চণ্ডী-অষ্টমীঃ১৭ই
অগ্রহায়ণ,১৪২৬[ইং ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৯]
চণ্ডী-নবমীঃ১৮ই
অগ্রহায়ণ,১৪২৬[ইং ৫ই ডিসেম্বর,২০১৯]
তথ্যসূত্রঃ শুভদীপ রায় চৌধুরী
No comments:
Post a Comment