ইতিহাস
ও ঐতিহ্যপূর্ণ মন্দির হল দক্ষিণ
চব্বিশ পরগনার বোড়ালে প্রাচীন
ত্রিঁপুরসুন্দরী মন্দির, সেই ইতিহাসের সন্ধানে
আজ শ্রীমান্ শুভদীপ রায় চৌধুরী। দেবীপীঠের
এই প্রাচীন মন্দির অবস্থিত দক্ষিণ
চব্বিশ পরগনার বোড়াল গ্রামে
সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত এই
মন্দির।
দশমহাবিদ্যার তৃতীয়া রূপা ষোড়শী
দেবী শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী
"বালার্কমন্ডলাভাসাং
চতুর্বাহুং ত্রিলোচনাম্।
পাশাঙ্কুশশরাংশ্চাপং ধারয়ন্তীং শিবাং শ্রয়ে।।"
অর্থাৎ
নবোদিত সূর্যমন্ডলের ন্যায় যাঁর চারটি
বাহু, তিনটি নয়ন এবং
চারি হস্তে পাশ, অঙ্কুশ
শর ও ধনুক ধারন
করিয়া আছেনঃ সেই শিবাকে
আমার নমস্কার জানাই। ভারতবর্ষের
বিভিন্ন স্থানে বৈদিক যুগ
থেকে যে সমস্ত মহাশক্তিমূর্তি
প্রতিষ্ঠিত হয়ে এক প্রসিদ্ধ
পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে তা
কলকাতার অন্তর্গত গড়িয়ার নিকটবর্ত্তী সুপ্রাচীন
বোড়াল গ্রামে তন্ত্রোক্ত দশমহাবিদ্যার
অন্তর্গত তৃতীয়া মহাবিদ্যা ষোড়শী
ও ত্রিপুরসুন্দরী দেবীর মূর্ত্তি ভারতের
তীর্থ-জগতে এক উচ্চস্থান
অধিকার করে আছে।
তন্ত্রে দুটি নামের উল্লেখ
রয়েছে, একটি নাম ত্রিপুরসুন্দরী
এবং অপরটি ত্রিপুরা সুন্দরী। প্রথম
নাম ত্রিপুরসুন্দরীই প্রধানা। এই
ত্রিপুরসুন্দরীই বোড়াল গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী
দেবী। দেবীর
দ্বিতীয় নাম হল ত্রিপুরাসুন্দরী। এই
দ্বিতীয় নামের উদ্ভব হল
যখন দেবী প্রবল পরাক্রমশালী
ত্রিপুরা নামক অসুরকে নিধন
করলেন তখন।
এই দেবীর ভৈরব
শ্রীশ্রী পঞ্চানন দেব। এই
পীঠে ইনি পশ্চিম দিকে
সেন দীঘির পশ্চিম কূলে
অবস্থান করছেন। এই
ত্রিঁপুরসুন্দরী দেবীর প্রাচীন মন্দিরের
স্তূপ খনন করে দেখা
যায় যে মন্দির ভিত্তির
বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরণের
কারুকার্য ইট এবং গাঁথুনির
বিভিন্ন প্রকার কৌশল রয়েছে। মূল
মন্দিরের সংস্কার হয়েছে তবুও এই
মন্দিরের স্তূপ ও পার্শ্ববর্তী
স্থান খননকালে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের নানা প্রত্নতাত্বিক
নিদর্শন থেকে শুরু করে
মৌর্য, কুশাণ, গুপ্ত, পাল
ও সেনরাজাদের আমলে বহু পোড়া
মাটির মাতৃকামূর্ত্তি, যক্ষমূর্ত্তি, খণ্ডিত শিবমূর্ত্তি, বিষ্ণুমূর্ত্তি,
উৎকীর্ণ বৃহদাকার শিলা, তারামূর্ত্তি, কালীমূর্ত্তি,
নানাধরনের তৈজস পত্রাদি, মাটির
মাল্যদানা ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।এখনও সেনস্তূপ খননকালে
প্রাপ্ত প্রস্তোরোৎকৃত ভগ্ন শিব মুখমন্ডল
ও শায়িত শিব, হরিণের
শিং, অঙ্গারীভূত সূঁদরী গাছের কান্ড,
প্রস্তরীভূত হস্তীর কঙ্কাল ইত্যাদি
রয়েছে। কথায়
কথায় জানা গেল বোড়াল
গ্রামের এই শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী
দেবী পৌরাণিক বাহান্ন পীঠের অন্তর্গত।
কথিত আছে, কালীঘাটে ভাগীরথীর
পূর্বকূলে দেবীর দক্ষিণ চরণের
অঙ্গুলি এবং বোড়াল গ্রামে,
ভাগীরথীর পশ্চিমকূলে দেবীর অঙ্গুলিবিহীন বাম
করতালু পতিত হয়েছিল।
এককালে এই দেবীর মন্দিরের
পূর্ব সীমা দিয়ে অদিগঙ্গা
ভাগীরথী প্রবাহিতা ছিলেন। "গঙ্গার
পশ্চিম কূল বারাণসী সমতুল"। এই
দেবীর মন্দিরও ঐ পশ্চিমকূলেই অবস্থিত
ছিল। সেই
সময় উক্ত ভাগীরথীর কূলে
গড়িয়ায় এবং এই দেবীর
নিকটবর্ত্তী স্থানে বন্দর ছিল। ছোটো
জাহাজ ও নৌকা এই
বন্দরে আসত।
পাল, সেন যুগে
রাজাদের আমলে এবং তার
পরবর্তীকালেও নবদ্বীপের গঙ্গা থেকে জাহাজ
ও নৌকা ভাসিয়ে গড়িয়া,
বোড়াল প্রভৃতি অঞ্চলের বন্দরগুলি অতিক্রম করে সওদাগররা তমলুকের
প্রধান বন্দরে যেতেন।
শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী দেবীর উক্ত পুরাতথ্যসমূহ
ও বোড়াল গ্রামের প্রাচীন
ইতিহাস বহু ঐতিহাসিক কর্তৃক
সমর্থিতও হয়েছে। ত্রিপুরা
দেবীর ভৈরবী মূর্তিও বহুলখ্যাত। প্রাচীন
বাংলা সাহিত্যে প্রায় তিন শত
বছরের পুরোনো যদুনাথের ধর্মপুরাণের
গ্রাম্যদেবতার বন্দনায় বোড়ালের দেবীকে ভৈরবী বলা
হয়েছে। এই
চৈতন্য ভৈরবীর ধ্যানটি হল
"উদ্যদ্ভানু সহস্রভাং নানালঙ্কারভূষিতাম্।
মুকুটাগ্রলসর্চ্চন্দ্রিরেখাং রক্তাধরাষ্ঠিতাম্।।
পাশাঙ্কুশধরাং নিত্যাং বামহস্ত কপালিনীম্।
বরদাভয়শোভাঢ্যাং পীনোন্নতঘটস্তনীম্।।"
অর্থাৎ
উদীয়মান সহস্র সূর্য্যের মত
যার দেহকান্তি, সর্বাঙ্গ নানা অলংকারে শোভিত,
মস্তকে মুকুট-মুকুটোপরি চন্দ্রকণা,
পরিধানে রক্তবস্ত্র, বামহস্তে পাশাঙ্কুশ ও নরকপাল এবং
দক্ষিণহস্তদ্বয়ে বর ও অভয়,
যাঁর স্তনযুগল পীন ও উন্নত
ও ঘন(সেই দেবীকে
ধ্যান করি) ভুবনেশ্বরী ভৈরবীর
পূজামন্ত্র চৈতন্য ভৈরবীরই অনুরূপ।
তবে ইহার ধ্যান
পৃথক-
"জবাকুসুমসঙ্কাশং দাড়িমীকুসমোপমাম্।
চন্দ্ররেখাং জটাজুটাং ত্রিনেত্রাং রক্তবাসসীম।
নানালঙ্কার সুভগাং পীনোন্নতঘটস্তনীম্।
পাশাঙ্কুশ বরাভীং ধারয়ন্তীং শিবাং
শ্রয়ে।।"
অর্থাৎ
জবাফুল দাড়িম্বফুলের মতন যাঁর বর্ণ
রক্তবর্ণ, যাঁর মস্তকে চন্দ্রকণা
ও জটাজুট, যাঁর তিনটি চক্ষু,
পরিধানে রক্তবস্ত্র ও অঙ্গে বিবিধ
ভূষণ, যাঁর স্তনদ্বয় স্থূল
উন্নত ও ঘন এবং
হস্তে পাশ, অঙ্কুশ, বর
ও অভয় ধারণ করে
আছেন, সেই শিবা দেবীকে
প্রণাম।
ত্রিপুরা দেবীর আর একটা
রূপ "সুন্দরী" রূপ। তাঁকে
বলা হয় ত্রিপুরসুন্দরী।
এটি শ্রীবিদ্যারও রূপ। শ্রীপঞ্চমী
তিথিতে তাঁর পূজা প্রশস্ত। কাশ্মীরের
তন্ত্রাচার্যদের কাছে এই মূর্তিই
সমাদর। শঙ্করাচার্যের
"সৌন্দর্য লহরী" গ্রন্থে এই সুন্দরীর রূপই
প্রাধান্য পেয়েছে। প্রায়
এক হাজার বছর আগে
ভগবান শঙ্করাচার্য দেবী ত্রিঁপুরসুন্দরীর মূর্ত্তি
দর্শন করে যে স্তোত্র
পাঠ করেছিলেন তার কিছুটা অংশই-
-:ত্রিঁপুরসুন্দরী স্তোত্রম:-
"কদম্ববন
চারিণীং মুনিকদম্বকাদম্বিনীং
নিতস্বজিতভূধরাং সুরনিতস্বিনীসেবিতাম্।
নাবাম্বুরুহ-লোচনামভিনবাম্বুদশ্যামলাম্
ত্রিলোচন-কুটুম্বিনীং ত্রিপুর সুন্দরীমাশ্রয়ে...।।"
শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী দেবীর পীঠস্থান কিছু
কারণে দীর্ঘকাল জনশূণ্য হয়ে থাকে।
পরে সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে
শ্রী জগদীশ ঘোষ নামে
পূর্ব্ববঙ্গের এক ধনাঢ্য জমিদার
নৌকাযোগে তীর্থ ভ্রমণ করতে
এসে মা ত্রিঁপুরসুন্দরী পীঠস্থানে
আসেন এবং দেবীর নির্দেশেই
তিনি তার পিতৃশ্রাদ্ধাদি সম্পন্ন
করেন। তিনি
লক্ষ করেন এই ত্রিঁপুরসুন্দরীর
মন্দিরের সংস্কার প্রয়োজন। তাই
তৎকালীন মুসলমান সুবেদারদিগের কাছ থেকে বোড়াল
গ্রামে জঙ্গল কেটে গ্রামের
শ্রীবৃদ্ধি করেন। তিনি
গ্রামে ব্রাহ্মণ, কুলীন, কায়স্থ, ধোপা,
নাপিত, কুম্ভকার ইত্যাদি মানুষের ভূসম্পত্তি দান করেন এবং
তাদের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা
করেন। তিনি
দেবী ত্রিঁপুরসুন্দরীর নিত্য পূজার্চনার ব্যবস্থা
করেন। তাঁর
সঙ্গে বড়িশার প্রতাপশালী জমিদার
সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের
এবং ভূকৈলাসের রাজবংশীয়গণের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি
বড়িশা ও বোড়াল গ্রামের
সহিত ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করেন এবং
বড়িশার স্বনামধন্য জমিদার বংশ সাবর্ণ
রায় চৌধুরী পরিবারের জমিদারগণকে
শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী দেবীর সেবাকার্যে অনুপ্রাণিত
করেন।
মন্দিরের
যিনি পুরোহিত তিনি এবং তাঁর
পিতা এই মন্দিরের পুরোহিত,
নিত্যপূজা তিনি করেন।
কথায় কথায় জানতে পারলাম
আগে পূজা করতেন শ্রী
পশুপতিনাথ মুখোপাধ্যায়, তারপর পূজা করতেন
শ্রী গুনিপদনাথ মুখোপাধ্যায়, এই গুনিপদনাথ মুখোপাধ্যায়
২০১৭সালে দেহত্যাগ করেন। তারপর
থেকে তিনি এবং তাঁর
পিতা পূজা করেন।
দেবীর বুধবারে বিশেষ পূজা হয়। প্রতিদিনই
অন্নভোগ দেওয়া হয়।
অন্নভোগে থাকে ভাত, ডাল,
ভাজা, তরকারি, পায়েস ইত্যাদি।
রীতিনীতি মেনেই পূজা হয়। বিশেষ
বিশেষ তিথিতে বহু ভক্তের
সমাগম হয়। বুধবারে
বহুমানুষ তাদের গ্রহদোষ কাটাতে
এই দেবীপীঠে আসেন। বাৎসরিক
পূজাতে চণ্ডীপাঠ, হোমযজ্ঞ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্গাপুজোর
১৫দিন এই শ্রীশ্রী ত্রিঁপুরসুন্দরী
দেবীর মন্দিরে একপক্ষে সকালে মঙ্গলারতি হয়। এবং
প্রতিদিনই নাটমন্দিরে কীর্তন, ভক্তিগীতি এবং গীতাপাঠ হয়। বিশেষ
পূজার দিন সকাল ৯টায়
শুরু হয় চণ্ডীপাঠ।
এই ত্রিঁপুরসুন্দরী দেবীর
পীঠস্থানে বহু সাধক সিদ্ধিলাভ
করেছেন। তাদের
মধ্যে অন্যতম সুপ্রসিদ্ধ সাধক
শ্রীমৎ স্বামী শিবচৈতন্য গিরি। সাম্প্রতিককালে
দেবীর সাধনা করেন শ্রীমৎ
স্বামী হরানন্দ সরস্বতী ও জগতগুরু শঙ্করাচার্য্য
১১০৮ শ্রীমৎস্বরূপানন্দ গিরি।
তৎকালীন
অর্থাৎ ১৩২৫সালে ভূমি জরিপের সময়
শ্রী হীরালাল ঘোষ ও ঠাকুর
বসন্ত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম
ত্রিপুরসুন্দরী দেবীর সমস্ত ভূসম্পত্তির
সেবাইত রূপে রেকর্ড হয়। ফরতাবাদ
ও অন্যান্য স্থানের সম্পত্তিগুলি তদ্বিরের অভাবে বেদখল হয়। তদানুসারে
সেই আইনের বলে উক্ত
দুইজন ট্রাস্টি ১৩৪১সালে এক সাধারণ সভায়
৭জন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি সর্ব্বসম্মত
ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা
হয়। এই
কমিটির মারফত দেবীপীঠের উন্নতিমূলক
সেবাকার্য হয়। বিশেষ
করে প্রায় চার হাজার
টাকা খরচ করে দেবীর
মাটির মূর্তির বদলে অষ্টধাতুর মূর্তি
নির্ম্মিত হয়। নবনির্ম্মিতদেবী
বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা হয় ২৩শে মাঘ,১৩৪১সাল, শুক্লা তৃতীয়ার দিন,
শ্রী পঞ্চমী বা সরস্বতী
পূজার দুইদিন আগে।
এই ট্রাস্ট বোর্ড গঠন হলে
দেবীর পীঠে বহুকালের প্রচলিত
পশুবলি বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি
ফল পাকুড়ও বলি দেওয়া
বন্ধ হয়ে যায়।
এই ট্রাস্ট বোর্ডের
দীর্ঘদিন ব্যাপী অক্লান্ত চেষ্টার
ফলে একটি
সুবৃহৎ মন্দির নির্মিত হয়েছে। এই
মন্দির নয়টি চূড়া বিশিষ্ট
মন্দির অর্থাৎ বলা যায়
নবরত্ন মন্দির। উচ্চতা
প্রায় ৫২ফুট। এই
মন্দিরের সম্পূর্ণ নক্সা করেছেন মার্টিন
এন্ড বার্ণ কোং এর
ইঞ্জিনিয়ার ঢাকুরিয়া নিবাসী শ্রী সরোজ
কুমার চট্টোপাধ্যায়। এই
মন্দির ও নাটমন্দির নির্ম্মাণে
ব্যয় হয়েছে প্রায় একলক্ষ
টাকা এবং সময় লেগেছে
প্রায় এক বৎসর কাল। এই
মন্দির সংলগ্ন একটি সংগ্রহশালাও
রয়েছে। যেখানে
বিভিন্ন সময়ের খনন কার্যে
প্রাপ্ত ঐতিহাসিক উপাদান রয়েছে।
এছাড়াও একটি বৃহদায়তন তীর্থযাত্রী
নিবাসও তৈরী হয়েছে।
প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লা
তিতীয়া থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত
সাড়ম্বরে দেবীর বাৎসরিক পূজা
হয়। এই
পূজা উপলক্ষে যজ্ঞ, চণ্ডীপাঠ, কীর্তনাদি,
নরনারায়ণ সেবা হয়।
গবেষণায় সঙ্গে ছিলেন শ্রীমান্
সৌমজিৎ মাইতি এবং শ্রীমান্
সায়ন সেনগুপ্ত
পথনির্দেশঃ
হাওড়া স্টেশন থেকে নাকতলা-হরিনাভি মিনিবাস এবং সরকারি ৫/৬নং বাস যোগে
গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড বা মেট্রোরেলে কবি
নজরুল স্টেশন থেকে বোড়াল
রক্ষিতের মোড় অটোরিক্সায় বোড়াল
হাইস্কুল বা বেলতলা স্টপেজে
নামলেই এই পীঠস্থানে আসা
সম্ভব।
বিশেষ
দ্রষ্টব্যঃ উৎসবের প্রথমদিন ও
দ্বিতীয়দিন ভোগপ্রসাদ গ্রহণ করতে চাইলে
ভক্তগণকে সকাল ১০টার মধ্যে
দেবীপীঠের কর্মকেন্দ্র থেকে ৬০টাকা জমা
দিয়ে ভোগর কূপন সংগ্রহ
করতে হবে।
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ
শ্রী রথীন্দ্রনাথ সিংহ(সম্পাদক), শ্রী
প্রকাশচন্দ্র রায়(পুরোহিত), শ্রীশ্রী
ত্রিঁপুরসুন্দরী সেবা সমিতি, শ্রীমতী
সুনিতি সাহা(মন্দিরের সাথে
যুক্ত)।
সমগ্র
গবেষণায় এবং চিত্রেঃ শ্রীমান্
শুভদীপ রায় চৌধুরী
**** এই
মন্দিরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের
সন্ধান সম্পূর্ণরূপে লেখকের গবেষণায় এবং
মন্দিরের সেবা সমিতির সাহায্যে
লিখিত। এই
তথ্য অন্যত্র দেওয়ার জন্য লেখকের
অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।****
No comments:
Post a Comment