ঐতিহ্যের
ইতিহাসপর্বঃ
আজ প্রকাশিত হল
হুগলির ভট্টাচার্য্য পরিবারের প্রাচীন দুর্গাপুজোর ইতিহাস। লিপিবদ্ধ
করলেন শ্রীমান্ শুভদীপ রায় চৌধুরী। চলুন
দেখা যাক, প্রাচীন সেই
পুজোর ইতিহাস।
প্রায় আনুমানিক ৪০০বছর
আগে ঈশ্বর রামচন্দ্র তর্কালঙ্কার
ভট্টাচার্য্য মহাশয় হুগলি জেলার
ইচ্ছাপুর গ্রামে শুরু করেছিলেন
শারদীয়া দুর্গাপুজো। ইচ্ছাপুর
গ্রামের দুটি প্রাচীন পুজো
রয়েছে, একটি হল আটবাড়ি
এবং অপরটি হল পাঁচবাড়ি। ইতিহাস
ও ঐতিহ্যের সাথে আজও ধারাবাহিকতা
বজায় রয়েছে ভট্টাচার্য্য পরিবারে
পুজো। এই
দুই প্রাচীন পুজো শুরু করেছিলেন
দুই ভাই একজন হলেন
ঈশ্বর গুন আনন্দ ভট্টাচার্য্য
এবং আর একজন হলেন
শ্রীরাম তর্কালঙ্কার ভট্টাচার্য্য। এই
দুই ভাই বর্ধমান জেলার
রায়নার সভা কর বংশের
ছিলেন, গোপিনগর গ্রামের জমিদার ঈশ্বর গোপীনাথ
সিংহ চৌধুরী মহাশয় তাঁদের
নিয়ে আসেন রায়না থেকে
ইচ্ছাপুর গ্রামে।
এই ভট্টাচার্য্য পরিবারে
দেবী পঞ্চমুণ্ডীর আসনের ওপর অধিষ্ঠিতা
হয়ে সেই প্রাচীন কাল
থেকেই একই নিয়ম রীতি
পালন করে আজও তাঁর
পুজো করে আসছে হুগলির
ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা। দেবীর
অসীম কৃপায় আজও নবীন
প্রজন্ম এই পুজোকে মহাসমারহে
পালন করেন। দেবী
একচালায় মহিষমর্দিনীরূপে বিরাজমানা। পরিবারে
এখনও বলিদানপ্রথা রয়েছে। ভট্টাচার্য্য
পরিবারে দেবীর ভোগ হিসাবে
সকালে ফল ও চালের
নৈবেদ্য প্রদান করা হয়। দুপুরে
ভোগে থাকে খিচুড়ি, ভাজা,
তরকারি, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি
আর শীতলভোগে থাকে লুচি, সাদাভাত,
তরকারি, ডাল, চাটনি, পায়েস
ইত্যাদি।
এই বংশে বহু
গুণি মানুষের জন্ম হয়েছে, যাঁদের
অবদানে হুগলির ভট্টাচার্য্য পরিবার
আজও সমাদৃত। বিখ্যাত
পণ্ডিত ইন্দুভূষণ বেদান্ততীর্থ, পণ্ডিত রামচন্দ্র তর্কালঙ্কার
ভট্টাচার্য্য, পণ্ডিত বীরেশ্বর ভট্টাচার্য্য,
আনন্দপ্রসাদ বাচস্পতি, পণ্ডিত মহেশ্বর ভট্টাচার্য্য
অন্যতম।
তাই আজও নিষ্ঠার সাথে
দেবীর আরাধনা করে আসছেন
হুগলির ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা।
কৃতজ্ঞতাস্বীকারঃ-
জয় ভট্টাচার্য্য
তথ্যসংগ্রহেঃ-
শ্রীমান্ শুভদীপ রায় চৌধুরী
No comments:
Post a Comment