Sunday, April 14, 2019

আরামবাগের ফুলুই অঞ্ছলের মন্ডল পরিবারের অন্নপূর্ণাপূজা


ঐতিহ্যের ইতিহাসপর্বঃ 
 আজ আবারও বনেদীয়ানা পরিবার তুলে ধরলেন প্রায় ১১৬ বছরের পুরোনো অন্নপূর্ণা পুজো সেই ইতিহাসের খোঁজ নিয়ে এলেন পরিবারের সদস্য শ্রীমান্ শুভদীপ রায় চৌধুরী তথ্য দিলেন পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য শ্রীমান্ দেবপ্রিয় মন্ডল আজ আলোচনায় আরামবাগের ফুলুই অঞ্ছলের মন্ডল পরিবারের অন্নপূর্ণাপূজা

 এই মন্ডল পরিবারের পুজোর সূত্রপাত করেন পুর্বপুরুষ রামলাল মন্ডল মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই, তিনি জমিদার ছিলেন কিন্তু জমিদার হলেও তার জমিদারের মতন আচরণ ছিল না কারণ বহু জমি তিনি মায়ের নামে দান করেছিলেন তিনি একদিন দেবীর স্বপ্নাদেশ লাভ করেই পুজো শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মন্ডল বাড়িতে
 এই পুজো প্রতিপদ থেকে শুরু হয় এবং দশমীতে গিয়ে শেষপর্ব অনুষ্ঠিত হয় প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত চণ্ডীপাঠ অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু হয় দেবীর সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেব শ্রীমাসারদাদেবী উপস্থিত হয়েছেন বহুবার এই বাড়িতে পুজোর সময় সম্পূর্ণ শাক্তমতে পুজো হয় এই পরিবারে মন্ডল বাড়ির ঠাকুরদালানেই মূর্তি তৈরী হয়

 মন্ডল পরিবারের কুলদেবতা হলেন দামোদর জীউ, তিনিও উপস্থিত থাকেন পুজোর সময় তিনি মায়ের ডানদিকে বসেন এবং বামদিকে থাকেন কুলদেবী মা লক্ষ্মী প্রথম থেকেই একই ধারায় রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে মন্ডল পরিবারে একই ঠাকুরদালানে পুজো হয়ে আসছে কিন্তু পরবর্তীকালে সেই ঠাকুরদালানকে একটু বৃহৎ আকারে প্রস্তুত করা হয়

 মন্ডল পরিবারে পুজোর দিন দরিদ্রনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়, সেই প্রথার আয়োজন কম হলেও একবারেই অবলুপ্তি ঘটেনি মন্ডল পরিবারে পুজোর রীতি অনুযায়ী প্রতিপদ থেকে অষ্টমী পর্যন্ত দেবীকে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয় ভোগে থাকে ঘিভাত, ডাল, পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, লুচি, নানান রকমের মিষ্টান্ন ইত্যাদি নবমীর দিন দেবীকে আমিষ ভোগই প্রদান করা হয় নবমীর ভোগে দেবীকে সাদাভাত, খিঁচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, ৯রকমের মাছ, নানান রকমের তরকারি, মিষ্টান্ন ইত্যাদি প্রদান করা হয়
 এই ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন মন্ডল পরিবারের মা অন্নপূর্ণা
তথ্যসূত্র এবং চিত্রঃ শ্রীমান্ দেবপ্রিয় মন্ডল
লিপিবদ্ধেঃ শ্রীমান্ শুভদীপ রায় চৌধুরী



No comments:

Post a Comment