Thursday, April 11, 2019

দেবী কঙ্কালেশ্বরী- পূর্ব বর্ধমান


ঐতিহ্যের ইতিহাসপর্বঃ 
 আজ শ্রীমান্ শঙ্খের গবেষণায় উঠে এল এই প্রাচীন মন্দিরের ইতিহাস ঐতিহ্য বনেদীয়ানার উদ্দেশ্যই তাই ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ধারাবাহিকতার মেলবন্ধন ঘটানো আজ বনেদীয়ানায় প্রকাশিত হল দেবী কঙ্কালেশ্বরী, পূর্ব বর্ধমানের
দেবী কঙ্কালেশ্বরী পূর্ব বর্ধমান


সালটা বাঙলার ১৩২১, ইংরাজীর ১৯১৪ ব্রিটিশ পদদলিত ভারতবর্ষের রাজধানী কোলকাতার অনতিদূরেই জেলা বর্ধমান! থুড়ি, বলা ভালো, রাজ্য বর্ধমান তখন বর্ধমান রাজত্বের সিংহাসনে মহারাজাধিরাজ স্যার বিজয়চাঁদ মোহতাব বাহাদুর আসীন উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত, পরিশীলিত, উচ্চবংশীয় ব্যক্তিত্ববোধ এবং প্রজাদের প্রতি সন্তানতুল্য ব্যবহারে রাজত্বের সকলেই মহারাজকে দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন
এই মহারাজেরই দরবারে অযাচিত ভাবেই একদিন আবির্ভাব হলো এক প্রবীন তপস্বীর নামঃ কমলানন্দ পরিব্রাজক রাজপরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সিংহাসন স্থাপনের প্রথমদিন থেকেই ধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপন এবং প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মহারাজদের ভূমিকা অনবদ্য সুতরাং, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত স্থাবর অস্থাবর রাজত্বের সঙ্গে বিজয়চাঁদের রক্তে ধর্মীয় ভাবাবেগও শিরায় শিরায় প্রবাহিত
তপস্বীর আগমন সংবাদ পাওয়া মাত্রই মহারাজ তাঁর যথোপযুক্ত পরিচর্য্যা সেবার দায়িত্ব নিলেন অতিথিশালায় তাঁর আসনঘর করার জন্য অনুরোধ করলেন কিন্তু, তপস্বীর মনোভাব ভিন্ন "আমি রাজসেবা পাওয়ার আশায় আসিনি, মহারাজ! নিজের জন্য সামান্য একটা চালাঘর তৈরীর আবেদন নিয়ে এসেছি যদি মঞ্জুর করেন, বড় কৃতার্থ হই!", সন্ন্যাসীর বাক্যে মহারাজ বিজয়চাঁদ যারপরনাই দুঃখিত হলেন, অতিথি তো নারায়ণ, তার উপর সে অতিথি যদি কোনো সাধুসন্ন্যাসী ' তাহলে তো কথাই নেই কিন্তু, সেই নারায়ণ' যদি সেবার ভাগ থেকে বঞ্চিত করেন, তবে কি' বা করা যায়! "এতবড় রাজত্ব আমার, সেখানে আপনার যেখানে ইচ্ছা, সেখানে, আপনার সাধনানুকূল যতটা ভূমি প্রয়োজন ততটা জমিই আপনি নির্বাচন করে দিন, আমার কর্মচারীরা আপনার ঘর তৈরী করে দেবে", হৃষ্টচিত্তেই মহারাজ জানালেন তপস্বী বেছে বেছে, তৎকালীন কাঞ্চননগর এলাকায়, দামোদর তীরবর্তী স্থানই নির্বাচন করলেন " জায়গা যে প্লাবনভূমি ঠাকুর! ওখানে ঘর করা আর বালির চড়ায় ভীত খোড়, একই কথা আপনি বরং অন্য জায়গা নির্বাচন করুন", মহারাজের এই বক্তব্যে সন্ন্যাসী অচল তিনি চান, তাঁর সাধনকুটীর ওখানেই হোক সেইমুহুর্তে মহারাজ কারণটা না বুঝলেও তপস্বী বিলক্ষণ জানতেন যে, জায়গাটিই অদূর ভবিষ্যতেই বধমানের একটি তীর্থস্থান তথা বঙ্গদেশের অন্যতম শক্তিপীঠের আসনে স্থান পাবে যাইহোক, সেখানেই ঘর তৈরী হলো সাধকের রাজপরিবারের তরফ থেকে নিত্য ভীক্ষার ব্যবস্থা 'লে, সাধু তা প্রত্যাখ্যান করেন বলপন, আমি অজগরবৃত্তী ধারী যা পাই, তাই খাই উপযাচিত ভীক্ষা, আমার সাধনার পরিপন্থী মহারাজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলেন
আসনঘরে পৌঁছেই সাধনায় ডুব! দিন যায়, মাস যায়, ধীরে ধীরে প্রায় দু'বছর কাটে আকাশবৃত্তীধারী সন্ন্যাসী তপস্যায় সিদ্ধ না হওয়া অব্দি আসন ছাড়তে অনড়! ইষ্টদেবীর সাক্ষাৎ দর্শনে কৃতার্থ হওয়া, তাঁর কাছে পারমার্থিক মুক্তিলাভের বরদান অপেক্ষা শ্রেয়!

১৩২৩ বঙ্গাব্দের ইতিহাসে দামোদর নদের বন্যা, বর্ধমানবাসীদের কাছে এক ভয়াল-ভয়ঙ্কর বিভীষিকা! ক্ষেতের পর ক্ষেত জলে ডুবে গবাদিপশু কোথায় কোনদিকে ভেসে গেছে ভীটেমাটি সব দামোদরের পাকস্থলীতে! বাস্তুহীন প্রজাদের ঠাঁই হয়েছে রাজবাড়ীর আনাচে-কানাচেতে, অতিথিশালায় দু'বেলা খাওয়ার সংস্থানও হয়েছে তাই অনেকেই আপাতত নিশ্চিন্ত! সকলেই মহারাজের সূর্য্য-চন্দ্রতুল্য সুস্থ, নিরোগ, দীর্ঘায়ু' কামনা করছেন কিন্তু, সেই মহারাজের মনই চঞ্চল সবাই তো কমবেশী এসেছে সেই সন্ন্যাসী কোথায়! বানের জলে ভেসে যাননি তো! এদিকে দামোদরের প্রকটতা দিনদিন এত বাড়ছে যে, কাঞ্চননগরের কাছাকাছি যাওয়াও দুঃসাধ্য ব্যাপার চিন্তায় মহারাজ আকুল! ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছেন দিনরাত, তাঁর রাজ্যে যেন সাধুমৃত্যুর মতো অপঘাত না ঘটে নিজেকেও দোষ দিচ্ছেন, কেনই বা তপস্বীর কথা নেচে, দামোদরের কোলে ঘর তৈরী করে দিতে গেলেন?
ওদিকে সাধু এসবের ঘুনাক্ষরও জানতে পারলেন না হঠাৎই, এক গভীর রাত্রে অতিলৌকিক নারীকণ্ঠে তাঁর তপস্যা ভঙ্গ হয় চোখ মেলে দেখেন, চারদিকে জল থৈথৈ করছে কিন্তু, সাধনকুটীরে একফোঁটা জলের চিহ্ন নেই অবাক হয়ে সাধক ভাবছেন, "কীহলো! এমন অবস্থা কীকরে হলো! কার ডাকে ধ্যানভঙ্গ হলো আমার!" এসব ভাবতে ভাবতেই নিজে আসন ছেড়ে ওঠার উপক্রম করতেই হঠাৎ এক অত্যুজ্জ্বল ছটায় তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে ওঠে বেশ কিছুক্ষণ সামলানোর পরে চোখ মেলে দেখেন, সেই আলোকচ্ছটায় আবির্ভূত হয়েছেন, তাঁর ইষ্টদেবী দর্শনে কৃতার্থ সাধককে আদেশ দিলেন, "সদরঘাটে যা সেখানে আমার বিগ্রহ পড়ে আছে ওটি তুলে এনে প্রতিষ্ঠা কর" অতঃ, বীজমন্ত্রের ব্যাখ্যা, রূপরহস্যের বর্ণনা দিয়ে বিলিন হবার আগে দেবী সাধককে বুঝিয়ে গেলেন, "যতদিন তোর এই জাগতিক শরীরটা উপস্থিত, ততদিন তুই' নিয়মানুসারে আমার আরাধনা করিস মৃত্যুর আগেই এই বিগ্রহের দায়িত্ব বিজয়(মহারাজ) নিজে থেকেই মাথায় করে নেবে তবে যে যতই আকুতি জানাক, আমার রূপরহস্যের বর্ণনা কাউকে দিবিনা যে প্রকৃত সাধক হবে, তার অন্তর্দৃষ্টিতেই আমার সত্ত্বা প্রকট হবে নচেৎ, যে যার সংস্কার অনুযায়ীই আমাকে যেরূপে ডাকবে, সেই রূপেই তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবো"

দেবীর আদেশে কমলানন্দ বহুকষ্টে জল ঠেলে সদরঘাটে গিয়ে দেখেন সত্যিই একটি মূর্তি ঘাটের একপাশে পড়ে আছে সেটিকে একবার কাঁধে, একবার মাথায় করে নিয়ে এলেন নিজের কুটীরে সকাল হবার অপেক্ষা করতে থাকলেন ভোরের আলো ফুটতেই, কাদাঘাঁটা মূর্তি পরিষ্কার করে দেখেন, সেটি অষ্টভূজা এক বিকট-ভীষণদর্শনা দেবীর বিগ্রহ প্রাণ কেঁপে ওঠে! নিজেকে সামলে নেবার পরে, ধীরে ধীরে ইষ্ট বর্ণিত ব্যাখ্যা মিলিয়ে মিলিয়েই সেই ভয়ালভয়ঙ্করীর মধ্যেই খুঁজে পান কল্যানেশ্বরীকে দেবী নির্দেশিত পদ্ধতিতেই সাধন ভজন চলতে থাকে
কয়েকসপ্তাহ পরে বন্যার জল নামতে শুরু করলে, মহারাজ সপার্ষদে এসে হাজির ' সাধকের কুটীরে দেখেন অবিকৃত মাটির চালায়, সাধক ধ্যানে মগ্ন সামনে এক বিকটদর্শনা দেবীমূর্তি ধ্যানমগ্ন সাধকের ধ্যানভঙ্গ হওয়ার অপেক্ষায় মহারাজ বসে থাকেন কমলানন্দের ধ্যানাবিষ্ট নিথর শরীরে বিভিন্ন সাত্ত্বিক লক্ষণ, বিকার, অশ্রুপাত, জ্যোতিপ্রভা দেখে মহারাজ যারপরনাই আপ্লুত বেশ কিছু সময় পরে সাধক জাগতিক অবস্থায় ফিরে এলে, মহারাজকে যতটা জানানোর ততটাই জানান তাঁর রাজত্ব আদ্যাশক্তির অযাচিত পুনরাবির্ভাব(প্রথমবারঃ দেবী সর্বমঙ্গলা রূপে) কল্পনা করে মহারাজ ধন্য! এবারে আর সাধকের অনুমতির অপেক্ষা না করে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাকা সাধনআশ্রম দেবীর মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন ক্রমে জনসাধারণের মধ্যে খবর যেতেই ভক্তসমাগম হতে থাকে কিন্তু, সমস্যা তো একটাই! এরকম দেবীমূর্তি সাধারণ মানুষ কোনোদিন কোথাও প্রত্যক্ষ করেননি মূর্তিটা কালীর মতো, অথচ কালী নয় কী নামে দেবীকে পূজো দেবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কমলানন্দ একই কথা বলেন, "যার যে নামে মা'কে ডাকতে ভালোলাগে, সে সেই নামেই ডাকবে" এই উত্তরেও ঠিক সন্তুষ্ট ' ভক্তগণ অবশেষে বহু ভেবেচিন্তে, সাধক দেবীর বাহ্যিক রূপ অনুযায়ীই বিগ্রহের নামকরণ করলেন "শ্রী শ্রী কঙ্কালেশ্বরী" নামটা খটোমটো হলেও যারাই আসেন, মূর্তি দেখামাত্রই তাদের দ্বিধা ঘুচে যায় সত্যিই যেন কঙ্কাল! হাড়ের উপরে চামড়া জড়ানো মূর্তি!
এরও প্রায় বছর কুড়ি পরে কমলানন্দের জাগতিক মুক্তি ঘটে তাঁরই ইচ্ছানুযায়ী, দেবী মন্দিরের প্রাঙ্গণেই তাঁর অস্থিখণ্ড সমাধি দেওয়া হয় মৃত্যুর আগেই মহারাজ মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব নিজের মাথায় করে নেন সেই নিয়মেই এবং সেই ব্যবস্থাপনাতেই আজও দেবীর নিত্য আরাধনা হয়ে আসছে
আজকের বর্ধমান সদরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে দামোদরের উত্তরতটে, শ্রী শ্রী কঙ্কালেশ্বরীর নবরত্ন মন্দির স্থাপিত রাজআমলের মন্দিরটি নষ্ট হতে শুরু করায় সম্প্রতি সংস্করণ করা হয়েছে অপূর্ব, নিস্তব্ধ মন্দির প্রাঙ্গণ দিনেদুপুরেও এক আশ্চর্য্যজনক গা-ছমছমে অনুভূতি আসে! ভক্তসমাগমের আধিক্যেও মন্দিরের গুরুগম্ভীর ভাব যেন লঙ্ঘিত হয়না৷ এমনটাই স্থানমাহাত্ম্য পাশাপাশি বহু লোকবসতি আছে কিন্তু দেবীর গাম্ভীর্য্য যেন সেসবের কোনো পরোয়াই করেনা দেবী মন্দিরের আসেপাশের জায়গা সুচারুভাবে বাঁধানো হয়েছে সন্ধ্যার আলোয় ঝলমলে মন্দির প্রাঙ্গণ সত্যিই মনোমুগ্ধকর
গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিতা বিগ্রহটির কথায় আসি কোষ্টিপাথর নির্মিত 'পোয়া উচ্চতার দেবী কঙ্কালেশ্বরী অষ্টভূজা ডানদিকের চারহাতে যথাক্রমেঃ অসি(তলোয়ার), পানপাত্র, ত্রিশূল এবং ছুড়িকা ধরে আছেন বামদিকের চারহাতেঃ পরশু(কুঠার), ঘন্টা, নরমুণ্ড এবং চর্বিত অসুরের হাত মুখের সামনে ধরে আছেন বিগ্রহের একেবারে নীচের দিকে শবরূপী মহাদেব শায়িত তাঁর নাভিপদ্ম থেকে উদ্ভাসিত সহস্রদলে দেবী কঙ্কালেশ্বরী নৃত্যরতা দেবীর গলায়, মাথায় বাহুতে, কটিদেশে নরকপাল রচিত মালা কোটরাগত ত্রিনয়নীর শ্বাদন্ত দু'টি প্রশস্ত এবং জিভটি ঈষৎ প্রলম্বিত মাথায়, গগনভেদী জটাভর কপালের উপরে সেই জটা চূড়ার আকারে নরকপাল মালা দিয়ে বাঁধা দেবীর দু'পাশে যথাক্রমে ডাকিনী এবং চণ্ডালিনী উপস্থিত সবথেকে আশ্চর্য্যের বিষয় একটাই দেবীর সারাশরীরের কঙ্কাল সমেত শিরা-উপশিরা পর্যন্ত অত্যন্ত নিখুঁত এবং সুচারু ভাবে খোদিত তাই একনজর দেখলেই মনে হয়, "কঙ্কালেশ্বরী নাম সার্থক"!
বহু প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিকদের মতে মূর্তিটি প্রায় একহাজার বছরেরও প্রাচীন কেউ বেলন, এটি বৌদ্ধআমলের বা পালযুগের মূর্তি মূর্তির সঠিক বয়স আজও কারো জানা নেই, সবই অনুমানভিত্তিক
এখানে, দৈনন্দিন সেবাপূজোর সাথে সাথে বছরের বিভিন্ন বড় তিথিতে, অমাবস্যায় প্রচুর লোকসমাগম হয় এখানে কুলার্ণব, মহানির্ব্বান, বৃহন্নীল এবং রুদ্রাযামল তন্ত্রশাস্ত্র মতে আরাধনা হয় ফলহারিণী, কৌষি, বকুল, রটন্তী অমাবস্যায় ভীর তো হয়ই; বিশেষতঃ দীপান্বিতা অমাবস্যার কালীপূজোয় বেশী ধুমধাম হয় হাজার হাজার ভক্তসমাগম হয় এখানে বলিদানের নিয়ম আছে নিয়মিত না হলেও, মানসিকের ব্যাপরে বা বিশেষ কোনো পূজোয় ভক্তের দেওয়া বা মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে পশুবলিদান হয় রোজনামচায়, সকালে 'টা থেকে দুপুর বারোটা এবং বিকাল চারটে থেকে রাত্রি আটটা অব্দি মন্দির খোলা থাকে বিশেষ বিশেষ তিথি পূজোয় ভক্তদের জন্য সারাদিন বা পূজোর সময়ভেদে সারারাত্রি মন্দির খোলা থাকে
রাজপরিবার নির্দেশিত সেবায়েতরাই বংশানুক্রমে মন্দিরের দায়িত্বে আসীন প্রণামির অর্থ বা দেবোত্তর জমিজমার আয় থেকেই মন্দির এবং মন্দিরাধিষ্ঠাত্রীর পরিচর্য্যা হয়ে থাকে
নিয়মিতভাবে, ভোগ বিতরণের ব্যপার এখানে না থাকলেও ভক্তরা চাইলে, পুরোহিতরা যথাযোগ্য সাধ্যে সেসবের আয়োজন করে দেন
আসুন না একবার, কঙ্কালেশ্বরীর চরণে না' বা থাকলো ভক্তিভাব, অন্ততঃ ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রত্যক্ষ করার জন্যই আসবেন
তথ্যসূত্র এবং চিত্রেঃ শ্রীমান্ শঙ্খ


No comments:

Post a Comment